[ad_1]
মাত্র এক সপ্তাহ আগেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের বিষয়টি ছিল প্রায় অচিন্তনীয়। কিন্তু সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর চমকে দেওয়ার মতো পাল্টা আক্রমণ দুই সপ্তাহের কম সময়েই সব হিসাব-নিকাশ বদলে দিল। বিদ্রোহীদের ঘাঁটি সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের শহর ইদলিব থেকে যে আক্রমণ শুরু হয়েছিল রাজধানী দামেস্ক দখলে তার পরিসমাপ্তি ঘটল।
বাশার আল-আসাদের পতনে সিরিয়ায় নতুন এক যুগের সূচনা হলো। বাবা হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে দেশটির ক্ষমতায় আসেন বাশার। হাফিজ আল-আসাদ দেশটি শাসন করেন ২৯ বছর। ছেলের মতো তিনিও ছিলেন একজন কর্তৃত্ববাদী শাসক। উত্তরাধিকারসূত্রে বাশার এমন এক শাসনব্যবস্থা পেয়েছিলেন, যেখানে শাসকের ইচ্ছাই সর্বশেষ কথা। বিরোধী মতের কোনো স্থান নেই।
বাশার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শুরুতে মনে করা হচ্ছিল তিনি হয়তো তাঁর বাবার মতো অতটা নৃশংস হবেন না। কিন্তু কিছুদিনের মাথায় তা মিথ্যা প্রমাণ করেন তিনি। আরব বিশ্বের কর্তৃত্ববাদী শাসকদের বিরুদ্ধে অন্য দেশের মতো ২০১১ সালে সিরিয়াতেও বিক্ষোভ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণ সেই বিক্ষোভ দমনে বাশার নিজের দেশের মানুষের ওপর যে সহিংসতা চালিয়েছেন, এ জন্যই তিনি কুখ্যাত হয়ে থাকবেন।
[ad_2]
Source link