[ad_1]
সরকারের সঙ্গে টানাপোড়নে বিএনপির সাময়িক সাফল্যে সবখানে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হচ্ছে। বিএনপি এনসিপিকে কখনো খুব বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেনি। কিন্তু নির্বাচনের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসকে কীভাবে তারা মোকাবিলা করবে, তারা পথ খুঁজে পাচ্ছিল না। তারা মনে করে, সেই পথটা তারা পেয়ে গেছে। ইউনূস সরকার দুর্বলতা দেখানোয় তাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে গেছে।
একজন বিএনপি নেতাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তারেক রহমান দেশে আসছেন না কেন? তিনি যা বললেন তা বেশ চমকপ্রদ, ‘একটা বড় দল ছোট দলগুলোর সঙ্গে খেলতে সাধারণত তাদের চৌকস ফরোয়ার্ডকে নামায় না। তাকে ধরে রাখে বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলতে।’ বোঝা যাচ্ছে, সামনের নির্বাচনে বিএনপি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ে খুব চিন্তিত নয়। তাদের একমাত্র সমস্যা, অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা না করা।
বিএনপি মনে করতে পারে, তাদের ক্ষমতায় আসা শুধু সময়ের ব্যাপার। তবে যতই সময় গড়াবে, তাদের ক্ষমতার পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হবে। তাই তারা সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়াবে। অধ্যাপক ইউনূস সরকারের অধীন নির্বাচন করে নির্বাচিত হওয়া তাদের অগ্রাধিকার। এতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সহযোগিতার সুযোগ বেশি থাকবে। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে গড়াচ্ছে, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে প্রয়োজনে তারা ইউনূস সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।
অধ্যাপক ইউনূস প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তিনি সরকারে আসেননি। তাঁর লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার। সংকটের পরবর্তী পর্যায়ে অধ্যাপক ইউনূস কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সবার দৃষ্টি সেদিকে থাকবে।
[ad_2]
Source link