[ad_1]
হরিয়ানায় সরকারবিরোধী মনোভাব প্রবল হওয়ায় সেখানে বিজেপি ভোটের ছয় মাস আগে দুবারের মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়। মোদি ও অমিত শাহ সেখানকার নির্বাচনী প্রচারে কম ভূমিকা রাখেন এবং মাত্র চারটি জনসভায় যোগ দেন।
এমনকি বিজেপি প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে মোদি-অমিতের ছবি পর্যন্ত ছিল না। জনমত জরিপ ও এক্সিট পোলগুলো কংগ্রেসের বিজয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল।
কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল সবাইকে হতবাক করে দেয়। ভোটের প্রাথমিক প্রবণতা কংগ্রেসের পক্ষে থাকলেও চমক লাগানো মোড় নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিজেপি জয়লাভ করে। ভোট গণনার পর দেখা যায়, বিজেপি ৯০টির মধ্যে ৪৮টি আসনে জিতে হ্যাটট্রিক করেছে এবং ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে এটি ছিল তাদের সেরা ফল।
অথচ ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি ১০টির মধ্যে ৫টি সংসদীয় আসনে পরাজিত হয়েছিল।
এই রাজ্যে বিজেপি ১৯টি আসনে ৫০ শতাংশের বেশি এবং ৩৯টি আসনে ৪০-৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে; যেখানে কংগ্রেস যথাক্রমে ১২ ও ৩২ আসনে এই পরিমাণ ভোট পেয়েছে। এই রাজ্যে বিজেপি ৪৬ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।
এটি কেমন করে সম্ভব হলো তা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে একটি বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারবিরোধী মনোভাবের তীব্রতা, মোদির জনপ্রিয়তায় ধস, নেতৃত্বের সংকট, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের পরও বিজেপি যে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে, তা যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্য প্রায় অসম্ভব একটি অর্জন।
জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্স নির্বাচনে জয়লাভ করেছে।
[ad_2]
Source link