[ad_1]
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারের আশঙ্কায় গাজা উপত্যকায় অভিযানে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রায় ৩০ জন সেনা ও কর্মকর্তাকে বিদেশ ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটটি ঘটনায় সেনাদের বিদেশ যাওয়ার পরপরই তাদের দেশে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। সাইপ্রাস, স্লোভেনিয়া ও নেদারল্যান্ডস ভ্রমণকালে এমন ঘটনা ঘটেছে।
আইডিএফ সরাসরি সেনা বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তবে গাজায় দায়িত্ব পালনকারী সেনাদের ভ্রমণের আগে ঝুঁকি মূল্যায়ন করা হয়। সেনাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েচে, ভ্রমণের আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঝুঁকি বিষয়ে তাদের পরামর্শ করতে হবে।
ইসরায়েলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর সম্ভাব্য অভিযানের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। আইসিসি সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আইডিএফ সূত্র জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও এবং ছবি সেনাদের শনাক্ত করতে সহায়তা করছে। সেনাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এমন ছবি প্রকাশ না করেন যা তাদের অবস্থান প্রকাশ করতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সেনারা গাজায় অভিযানের সময় তোলা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। এসব ছবিতে ভবন ধ্বংস করা, ব্যক্তিগত সম্পত্তি লুট এবং নিহতদের মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার মতো দৃশ্য দেখা গেছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, তারা হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে অনুমোদিত উপায় ব্যবহার করেছে। তবে যেসব ঘটনা আইডিএফ-এর নীতিমালার বাইরে গেছে, তা তদন্ত করা হবে।
গাজায় সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ নিয়ে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, এই কর্মকাণ্ড মার্কিন নীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে।
আইসিসির মামলা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক আইন বিভাগ এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেট ও মোসাদের সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় দল গঠন করেছে ইসরায়েল। দলটি সেনাদের ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
[ad_2]
Source link