[ad_1]
জয়া আহসান : বলতে পারেন তেমনই। করেছি কারণ, এত ভালো, এত স্ট্রং, এতটা বার্তাবহ—যে কয়টা সংলাপ আমার, মনে হয় কোনো বুদ্ধিমান অভিনয়শিল্পী এই লাইনগুলো বলার সুযোগটা মিস করবে না। কেউই না। আমরা সারাটা জীবন যে অভিনয় করি, শিল্পচর্চা করি—সবকিছুর উত্তর দেওয়া আছে আমি যে কয়টা লাইন বলেছি, তার মধ্যে। এত শক্তিশালী, এত অসাধারণ সংলাপ আমার অভিনয়জীবনে পাইনি। আমি দেখিওনি কাউকে এমন সংলাপ বলতে। এই কয়েকটা লাইন বলার জন্য অভিনয়শিল্পী সারা জীবন অপেক্ষা করতে পারে। এই চারটা লাইন অভিনেতা হিসেবে আমি বলতে পেরেছি, এটার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। এটা গুলতেকিন খান ও নুহাশের লেখা। এত সুন্দর, মারকাটারি লাইন বলে না, তেমনই!
প্রথম আলো :
কোন বাস্তবতায় এমনটা বলছেন?
জয়া আহসান : আমার জীবনবাস্তবতা। কেন বলছি, এটি দেখার পর সবাই তা বুঝতে পারবেন। এর ভেতরে যে গল্প আছে, বার্তা আছে, যে দর্শন আছে, সেটা আসলে অসাধারণভাবে নুহাশ বলেছে। আমি অন্তত স্ক্রিপ্টে এটা পেয়েছি। আমি তো দেখিনি। কিন্তু পুরো স্ক্রিপ্ট পড়ে এটা পেয়েছি। পুরো গল্পের দর্শনটাই অন্য রকম। পুরো গল্প পড়ে ক্যামিও চরিত্রে কাজ করতে রাজি হয়েছি।
প্রথম আলো :
ব্যক্তি জয়াকে নিয়ে ভক্তদের কৌতূহলের শেষ নেই। তাঁদের অনেকের মতে, জয় আহসানের কি বিয়ে করে সংসারী হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই? নাকি এভাবেই জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান?
জয়া আহসান : আমি তো সংসারই করি। করছি। বিয়ে করলেই কি শুধু সংসার হয়? আমার দায়িত্ব আছে এত এত, তা সংসারের চেয়ে কম কী! আমি তো এসব করেই সময় পাই না। সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, বিয়ে করলেই সংসার হয় না। আমিও তো বিয়ে করে সংসার করেছিলাম। সেটার স্বাদও আমি নিয়েছি। এখন এই সংসারটা করছি। এটাই মন্দ কী। এটা তো ভালো লাগছে আমার। যেহেতু এটায় বেশি ভালো লাগছে, এই সংসারটাতে আমি সাকসেসফুল।
আমার চারটা চারপেয়ে বাচ্চা। আমার মা, পরিবারের ভাইবোন, আমার গাছাপালা—সবকিছুই আমার সংসার। এরাই আমার সংসারের সব। বিয়ে করেও তো অনেকের ভেতর যোজন যোজন দূরত্ব থাকে। সেই অর্থে সেটাও কি সংসার তাহলে? যারা বিয়ে করেও যোজন ক্রোশ দূরে থাকে মানসিকভাবে, সেটাই কি সংসার? মানুষকে দেখানোর জন্য ফটোফ্রেম সংসার করে তো লাভ নেই। সংসার সত্যিকারভাবে কেউ যদি করে, সেটা তারা করুক। তার এক্সটেনশন তৈরি করুক। পৃথিবীতে দিয়ে যাওয়ার মতো কিছু করুক। আমি আমার মতো করে এভাবেই সংসার করছি। করব।
[ad_2]
Source link