[ad_1]
গোপালগঞ্জের শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ফারজানা ইসলামসহ নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত বাকি দুজন হলেন গোপালগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ সোহেল সিকদার এবং শহর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহানেওয়াজ খান। তাদেরকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।
পুলিশ জানায়, ফারজানা ইসলামকে ঢাকার একটি মামলায়, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর করে নেতাকর্মীদের আহত করার মামলায় সোহেল সিকদারকে এবং সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটের মামলায় শাহানেওয়াজকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী স্ত্রী, সন্তান ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই দিন বিকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় তাদের গাড়িবহরে হামলা হয়। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করেন বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার নিহত হন। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর নিহত দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে এক হাজার ৬১৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর জিলানীর ছোট মো. হায়দার আলী বাদী হয়ে এক হাজার ৬৬৬ জনকে আসামি করে গাড়ি ভাঙচুরের মামলা করেন। হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩২ জন ও গাড়ি ভাঙচুর মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে ১০ আগস্ট বিকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় ৩ হাজার ৩০৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
[ad_2]
Source link