সাহার আলী বলেন, গত সোমবার শ্রমিক দিয়ে তিন বিঘা জমির ধান কেটে নেন। সেদিন ঝলমলে রোদ ছিল। কাটা ধান শুকানোর জন্য আঁটি বেঁধে খেতেই রাখতে বলেন শ্রমিকদের। দুই দিন মাঠে ফেলে রাখলে ধান শুকিয়ে যায়। এই ধান দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু ধান কাটার পরদিন মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। প্রতিদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। জমিতে পানি জমে যাওয়ায় কেটে রাখা ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভেজা ধান তোলা ও মাড়াই করা সমস্যা। এ জন্য শ্রমিকেরাও তুলতে চাইছে না।
সাহার আলীর মতো বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার জিল্লুর রহমান, ইয়াছিন আলী, পলাশ সরকার, জাহান আলীসহ আরও অনেকে। কৃষকেরা জানান, যেসব খেতে মৌসুমের শুরুতেই ধান লাগানো হয়েছিল, সেই সব খেতের ধান এরই মধ্যে কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে। যেসব জমিতে শর্ষে ও আলুর আবাদ করা হয়েছিল, সেখানে বোরো ধান লাগাতে কিছুটা দেরি হয়। এখন মাঠের প্রায় সব খেতেই ধান পেকে গেছে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া, পানিতে ডুবে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ঝড়ে খেতের ধান এলোমেলোভাবে নুয়ে পড়ায় ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না তাঁরা। চার-পাঁচ দিন ধরে প্রতিদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। খেতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। এতে খেতেই নষ্ট হচ্ছে ধান।