[ad_1]
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত হারে বাড়েনি। নতুন কর্মসংস্থান তৈরির হারও ছিল প্রয়োজনের চেয়ে কম। এখন শুরু হয়েছে নতুন সংকট। সেটি হলো ব্যবসায়ীদের অস্বস্তি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা।
সাধারণত রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় বিনিয়োগ কম হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরে এই প্রবণতা দেখা যায়। এ বছরের ৭ জানুয়ারি একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে দেশ আরও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে মাত্র ১০০ দিনের কিছু বেশি সময় হলো। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শ্রমিক আন্দোলনে কারখানায় উৎপাদনে বিঘ্নিত হয়েছে। নিয়মিত বিভিন্ন পক্ষ ঢাকায় নানা দাবিতে আন্দোলন করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটেনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ কম হয়।
বিনিয়োগ কম হওয়ার মানে হলো কম কর্মসংস্থান, বেশি বেকারত্ব। আবার অর্থনীতিতে গতি কমে গেলে মানুষের আয় বৃদ্ধির গতিও কমে যায়। ১০ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতির মধ্যে সেই হারে আয় না বাড়লে মানুষের কষ্ট বাড়ে।
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা তাই কারখানা, ব্যবসা ও বাণিজ্য সচল রাখার ওপর সর্বোচ্চ জোর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন; কিন্তু তাঁরা এ–ও বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা যতটা থাকা দরকার, সমস্যা সমাধানে যতটা উদ্যোগ দরকার, সেখানে গত তিন মাসে ঘাটতি ছিল। এর মধ্যে ১০ নভেম্বর সরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য একজনকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছে, তিনি ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দিন। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এখন যোগাযোগ বাড়বে।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে ব্যবসার প্রতিটি খাতে প্রভাব পড়ছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থাহীনতা আছে, সেটি বলা যাবে না; তবে অস্বস্তি আছে। কারণ, ধারণা করা যায় না এমন ভবিষ্যৎ (আনপ্রেডিক্টেবল ফিউচার) নিয়ে কেউ নতুন বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবেন না। তিনি বলেন, ‘একেক দিন একেক শ্রেণি–গোষ্ঠীর মানুষ দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন। আমরা জানি না, আগামী সপ্তাহে কী হবে। তিন মাস বা ছয় মাস পরে কেমন পরিস্থিতি থাকবে—আমরা এর নিশ্চয়তা চাই।’
আবুল কাসেম খান আরও বলেন, ব্যবসা–সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। ঘন ঘন আলোচনার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সব খাতে সংস্কারের কথা শুনছি; কিন্তু ব্যবসায় খাতে সংস্কারের কথা শুনছি না। ব্যবসায় শুরু ও পরিচালনার প্রতিটি ধাপ সহজ করতে হবে।’
[ad_2]
Source link