স্বাস্থ্যের অবনতি
ভাট একাকী থাকতেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।
২০১৬ সালে তাঁর বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাক হয়। তখন তাঁর দেহে একাধিক স্টেন্ট বসানো হয়। হার্টের ধমনি ব্লক বা সরু হয়ে গেলে, সেখানে রক্ত চলাচল সচল রাখতে স্টেন্ট বসানো হয়।
পাঁচ বছর পর ২০২১ সালে তাঁর প্রথম স্ট্রোক হয়। এরপর ২০২২ ও ২০২৩ সালে আরও দুটি স্ট্রোক হয়। মৃত্যুর ঠিক দুই মাস আগে চতুর্থ স্ট্রোকে তিনি পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
এরপর ভাটকে শ্রীনগরের উপকণ্ঠে তাঁর একমাত্র জীবিত বোনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর ওই স্বজন বলেন, ‘তিনি নিজে কিছু খেতে পারতেন না, পুরোপুরি অন্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে চিকিৎসা–সংক্রান্ত একটি নথিতে বলা হয়েছে, ভাটের ‘কয়েক বছর আগে হওয়া মস্তিষ্কে স্ট্রোক… একধরনের নিউরোমাসকুলার প্রতিবন্ধিতা সৃষ্টি করেছে, যার ফলে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন।’
স্ক্রলের হাতে আসা এই নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভাট ‘পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে শয্যাশায়ী’ এবং এই প্রতিবন্ধিতা ‘স্থায়ী বলে মনে হয়।’ ‘তিনি একদমই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে নথিতে।
এই নথিতে আরও উল্লেখ আছে, ভাট ‘মনোচিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ (সাইকোট্রপিক মেডিকেশন)’ গ্রহণ করছিলেন। কারণ ‘শারীরিক চাপ’ তাঁকে ‘খিটখিটে’ এবং ‘ঝগড়াটে’ করে তুলেছিল।’…‘তাঁর মঙ্গলের জন্য তাঁকে কখনোই তদারকিহীন অবস্থায় একা ফেলে রাখা উচিত নয়’ বলেও সতর্ক করা হয়েছিল চিকিৎসকেরও ওই নথিতে।