[ad_1]
ডবল ইঞ্জিনের মাহাত্ম্য প্রচার ও শিবসেনা-এনসিপি ভাঙিয়ে বিরোধীদের কমজোরি করা সত্ত্বেও তারা বিরোধীদের চেয়ে ১ শতাংশ ভোট ও ২৮টি আসন কম পেয়েছিল। মাত্র পাঁচ মাসে এমন কী ভোজবাজি ঘটে গেল, যাতে এত বড় এক রাজ্যের এতগুলো আসন শরৎ প্রাতে শিউলি ঝরার মতো শাসক জোটের কোলে ঝরে পড়ল? স্বর্গবাসী সেরা জাদুকর স্যার হুডিনিও এই ভোজবাজিতে নিশ্চিতই ভ্যাবাচেকা খাবেন।
মহারাষ্ট্রের সঙ্গে হরিয়ানার মিলও অবিশ্বাস্য। ১০ বছর ধরে সেখানে ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রত্যাবর্তনের কোনো ইঙ্গিত প্রাক্-নির্বাচনী কোনো সমীক্ষা বা বুথফেরত জরিপে কেউ দেয়নি। সাংবাদিককুল, ভোটপণ্ডিতদের প্রত্যেকে নির্দ্বিধায় কংগ্রেসের জয় ঘোষণা করেছিলেন। যত সমীক্ষা হয়েছিল, ৯০ আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে সবচেয়ে কম দেওয়া হয়েছিল ৫৫টি, সবচেয়ে বেশি ৭২।
কৃষক বিক্ষোভ, মহিলা কুস্তিগিরদের অসম্মান, ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের জন্য সেনা পরিবারের অসন্তোষে বিজেপি যেখানে জেরবার, গ্রামাঞ্চলে নেতারা প্রচার পর্যন্ত করতে পারেননি, কী আশ্চর্য, সেই হরিয়ানায় দেখা গেল তারা একাই ৪৮ আসনে জয়ী! কী করে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব, সেই জিজ্ঞাসার সদুত্তর আদৌ পাওয়া যাবে কি না, সন্দেহ। আগামী বছরের শুরুতে দিল্লি বিধানসভার ভোট। অনুগত নির্বাচন কমিশন ও ইভিএম কী খেলা কীভাবে খেলে চলছে এবং আগামী দিনে কী খেলবে, কেউ তা জানে না। ২০২৪ সালের ভারতীয় রাজনীতি এ কারণেই এত রহস্যময়।
[ad_2]
Source link