Homeদেশের গণমাধ্যমেভোটারদের ১০ লাখ ডলার দেওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে ইলন মাস্ক

ভোটারদের ১০ লাখ ডলার দেওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে ইলন মাস্ক

[ad_1]

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে শুনানির জন্য আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ১০ লাখ ডলার উপহার দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তাকে ফিলাডেলফিয়ার আদালতে উপস্থিত থাকার আদেশ দেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। 

ফিলাডেলফিয়া ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে সোমবার এই মামলা দায়ের করা হয়। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহায়তা করতে মাস্কের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকা পিএসির লটারি পদ্ধতিতে অর্থ প্রদানকে অবৈধ বলে ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়। কারণ লটারিতে অংশগ্রহণের জন্য সাধারণ মানুষ তাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানে প্ররোচিত হয়েছিল।  

ফিলাডেলফিয়া কাউন্টি কোর্ট অব কমন প্লিস এর আদেশে বুধবার একজন বিচারক জানিয়েছেন, ‘শুনানির সময় সব দলকে অবশ্যই উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হল।’ শুনানির দিন প্রথমে শুক্রবার নির্ধারিত হলেও তা পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ে আসা হয়।

মামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আমেরিকা পিএসসি ও মাস্কের প্রতিনিধির সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কোনও পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।

গত সপ্তাহে একটি প্রতিযোগিতা শুরু করেন মাস্ক। প্রতিদিন লটারির মাধ্যমে একজন বিজয়ীকে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই উদ্যোগ চালু রাখার কথা জানান তিনি। লটারিতে অংশগ্রহণের জন্য শর্ত দুটি। বাকস্বাধীনতা ও অস্ত্র বহন আইন সমর্থনে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করতে হবে ও যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ভোটার হতে হবে। তার এই উদ্যোগ নিয়ে কিছুটা বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের মতে— সরাসরি কোনও নির্বাচনি আইন ভঙ্গ করেননি মাস্ক। কিন্তু কেউ কেউ একে দেখেছিলেন ট্রাম্পের পক্ষে ভোটারদের টানার এক অভিনব পদ্ধতি হিসেবে। 

সিএনএন থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে আমেরিকা পিএসি কে সতর্ক করে একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল বিচার বিভাগ। সেখানে বলা হয়, নিবন্ধিত ভোটারদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়া ফেডেরাল আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।  

আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রচারণার জন্য ট্রাম্প শিবির প্রভাবশালী সব গোষ্ঠীর ওপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তাই বিশ্বের শীর্ষ ধনীর সুপার পিএসসি হতে পারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত