Homeদেশের গণমাধ্যমেমহাবেলের আখ্যান | প্রথম আলো

মহাবেলের আখ্যান | প্রথম আলো

[ad_1]

মহাবেলগাছ ৮ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। দেখতে বেলগাছের মতো হলেও এ গাছে কাঁটা নেই। পাতায় বা ফলে বেলের বিশেষ গন্ধও নেই। ডাল লাগালে গাছ হয়। তরুণ কাণ্ড মসৃণ, অর্ধগোলাকার, ধূসর রঙের। পাতা সরল, গুচ্ছাকারে সাজানো, অবৃন্তক, প্রায় ডিম্বাকার, গোড়ার দিকে ক্রমে সরু।

গাছ লাগানোর কয়েক বছর পর ফুল ফোটে সরাসরি কাণ্ডের গায়ে, যেমনটা দেখা যায় নাগলিঙ্গম, কাঁঠাল, ডুমুর, কোকো ইত্যাদি গাছে। ফুলের রং সবুজাভ সাদা, বেগুনি রেখাযুক্ত। ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে এবং ছাত্র–শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে মহাবেলগাছ রয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডের কাছে চুপশাহ মাজারের উঠানে এবং শশীলজের আঙিনার পূর্ব দিকে একটি মহাবেলগাছ আছে।

আমাদের দেশে বিষাক্ত বলে মনে করা হলেও দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ফলটির কাঁচা শাঁস পানিতে ফুটিয়ে রোগ নিরাময়কারী সিরাপ বানানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন রোগের প্রতিকারে গাছটির ছাল-পাতা ও শিকড়ের ব্যবহার রয়েছে। এর শক্ত ও মসৃণ খোসা ঘর সাজানোর বিভিন্ন দ্রব্য ও বাদ্যযন্ত্র তৈরির উপযোগী। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে মহাবেলের খোসা বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পাকা ফলের খোলস শক্ত হওয়ায় এটি ডুগডুগি ছাড়াও নানা শিল্পকর্মে ব্যবহার করা যায়। এর খোল থেকে তৈরি হয় বিখ্যাত বাদ্যযন্ত্র মারাকা। আমাদের যন্ত্রীরা একে মারাক্কাস বলেন। এটি একপ্রকার ঝুমঝুমি, যা মিউজিক্যাল রিদম সৃষ্টিতে ব্যবহার করা হয়।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত