[ad_1]
মাসে ১২ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন জানিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, বাজারে যাঁরা মাছ কাটেন, তাঁরা বস্তায় আঁশসহ উচ্ছিষ্ট অংশগুলো রেখে দেন। এরপর বিকেলে গিয়ে এগুলো তাঁরা নিয়ে আসেন। এসব পরিষ্কার করে আঁশগুলো পরদিন সকালে শুকানো হয়। আর বাকি অংশগুলো চলে যায় তেল তৈরিসহ মাছ-মুরগির খাদ্য তৈরির কাজে।
এ কাজে যুক্ত অন্যরা জানান, নগরের রাজগঞ্জ, টমছমব্রিজ, চোয়ারা, বাদশা মিয়ার বাজার, পদুয়ার বাজার, রানীর বাজার, কুমিল্লা আদর্শ সদরের কালির বাজারসহ আশপাশের বিভিন্ন বাজার থেকে মাছের আঁশসহ উচ্ছিষ্ট অংশ সংগ্রহ করা হয়। প্রতিদিন সকালে রোদে দিলে দুপুরের মধ্যেই আঁশ শুকিয়ে যায়। মাছের নাড়িভুঁড়ি, পাখনা, লেজের অংশ, কানের অংশসহ উচ্ছিষ্ট অংশ থেকে তেল তৈরি হয়। ওষুধ, প্রসাধনসামগ্রী, ফুড সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় মাছের আঁশ। বাংলাদেশ থেকে চীন ও ইন্দোনেশিয়া হয়ে এসব আঁশ যাচ্ছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, কুমিল্লায় যাঁরা মাছের আঁশ পরিষ্কার করে শুকানোর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সুনির্দিষ্ট তালিকা নেই। তবে এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। বিশেষ করে চীনে এই আঁশগুলো বেশি রপ্তানি হচ্ছে। এতে ফেলনা জিনিস থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে দেশে। যাঁরা এই কাজে যুক্ত, তাঁরা সহায়তা চাইলে অবশ্যই সহায়তা করা হবে। আর উচ্ছিষ্ট অংশ থেকে তেল ও মাছ-মুরগির খাদ্যের উপাদান তৈরিও ভালো একটি উদ্যোগ।
[ad_2]
Source link