[ad_1]
কৃষক ফারুক হোসেন জানান, ইউটিউবে মাটি ছাড়াই সবজি চারা উৎপাদন পদ্ধতি দেখে উৎসাহিত হয়েছেন তিনি। ২০২০ সাল থেকে তিনি ওই পদ্ধতিতে সবজির চারা উৎপাদন করছেন।
ফারুকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০ সালে একটি বেসরকারি এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বাড়ির পাশে ওই পদ্ধতিতে ৪০ হাজার সবজি চারা লাগান তিনি। তিন মাসে তা বিক্রি করে আয় করেন ৪০ হাজার টাকা। এর পরে আর থেমে থাকেননি তিনি। চলতি মৌসুমে গত ২৬ দিন আগে ২৫ শতক জায়গাজুড়ে ওই পদ্ধতিতে চার লাখ বিভিন্ন সবজির চারা লাগিয়েছেন তিনি। এতে তাঁর ব্যয় হয়েছে প্রায় চার লাখ টাকা। ইতিমধ্যে চারা তুলে বিক্রি করেছেন প্রায় লাখ টাকার। তিনি আশা করছেন দেড় মাসের মধ্যে ওই চারা সাত লাখ টাকায় বিক্রির। এতে লাভ হবে অন্তত তিন লাখ টাকা।
ফারুক হোসেন বলেন, আগে অন্যের নার্সারি থেকে চারা কিনে বাজারে বিক্রি করতাম। তখন সংসারে অভাব লেগে থাকত, খেয়ে না খেয়ে দিন কাটত। আমার আবাদি কোনো জমি নেই। দুই বছর আগে ওই ২৫ শতক জমি ১৫ হাজার টাকায় বাৎসরিক চুক্তিতে নিয়েছি। এখন স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে খেয়ে পরে অনায়াসে দিন কেটে যাচ্ছে। টিনের বাড়ি করেছি। প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা পুঁজিও রয়েছে।
ফারুক হোসেন জানান, সাধারণত নার্সারিতে এসেই ক্রেতারা চারা কিনে নিয়ে যান। কেউ খুচরা আবার কেউ পাইকারিতে চারা কেনেন। প্রতিটি চারা উৎপাদনে খরচ পড়ে প্রায় ১ টাকা ২০ পয়সা, তা বিক্রি করা হয় সর্বোচ্চ দুই টাকায়।
[ad_2]
Source link