Homeদেশের গণমাধ্যমে‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কী বার্তা দিল

‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কী বার্তা দিল

[ad_1]

ভিড়ের মধ্যে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে, কিছুক্ষণ হেঁটে বক্তব্য শোনা হলো। অভ্যুত্থানে শহীদদের বাবারা, আহত ব্যক্তিরা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলার সমন্বয়ক, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা একের পর এক বক্তব্য দিয়ে গেলেন। বক্তব্য দিলেন ফ্যাসিবাদী সরকারের কালাকানুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নির্মম শিকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাও। তবে ছিলেন না সরকারে থাকা গণ–অভ্যুত্থানের তিন ছাত্রনেতা।

সবার বক্তব্য প্রায় অভিন্ন ছিল— খুনি  হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে, তাঁকেসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের খুনি নেতাদের বিচার করতে হবে, তাদের ফাঁসি দিতে হবে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের যে পরিবারগুলো নানাভাবে এখনো অবহেলিত, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। ‘মুজিববাদী’ বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা বিলোপ করতে হবে। হাসিনার আমলাতন্ত্রের অবসান ঘটাতে হবে। আওয়ামী লীগ আমলের সব গুম–খুনের বিচার করতে হবে। এতগুলো মানুষ শহীদ হয়েছে শুধু নির্বাচনের জন্য নয়। নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের দাবি নিয়েই বেশ জোরালো বক্তব্য দেখা গেল বেশ কয়েকজনের কণ্ঠে। সরকারের প্রতি এ আলটিমেটামও দেওয়া হয়, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। নয়তো তারা আবারও মাঠে নামতে বাধ্য হবেন।

কর্মসূচির এ–মাথা ও–মাথা ঘুরতে–ফিরতে–হাঁটতে গিয়ে এটিকে একটি ‘শোডাউনই’ মনে হলো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যে রাজনৈতিক শক্তি আকারে হাজির হতে যাচ্ছে, তারই একটি প্রতিধ্বনি পাওয়া গেল এ কর্মসূচিতে। এরই মধ্যে দেশের অনেক জেলা–উপজেলায় দুটি প্ল্যাটফর্মেরই কমিটি হয়েছে। জেলা–উপজেলা থেকে বাস ভাড়া করে সেসব কমিটির মানুষ এসেছেন আজকের কর্মসূচিতে। বলতে গেলে এ সমাবেশে ঢাকার বাইরের জেলা–উপজেলা ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–জনতাই বেশি ছিলেন।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত