Homeদেশের গণমাধ্যমেমাহমুদউল্লাহ-জাকেরের ঝোড়ো জুটিতে তিনশ ছুঁইছুঁই পুঁজি বাংলাদেশের

মাহমুদউল্লাহ-জাকেরের ঝোড়ো জুটিতে তিনশ ছুঁইছুঁই পুঁজি বাংলাদেশের

[ad_1]

তানজিদ হাসান তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া হাফসেঞ্চুরির পরও ১৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে জাকের আলী আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অসাধারণ এক জুটি।

ঝোড়ো যে জুটিতে ভর করেই মূলত বড় পুঁজি দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে দলীয় সংগ্রহ ২৯৪ রানের। অর্থাৎ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ২৯৫।

৪৩ বলে ক্যারিয়ারের ৩০তম ফিফটি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়ানডেতে প্রথম হাফসেঞ্চুরির সুযোগ ছিল জাকেরেরও। কিন্তু ইনিংসের ২ বল বাকি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন তিনি।

তাতেই ভাঙে ৭৪ বলে ৯৬ রানের মারকুটে জুটি। ৪০ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৮ রানে সাজঘরে ফেরেন জাকের। ৪৪ বলে ৫০ রানে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৩টি করে চার-ছক্কায়।

এর আগে বেসেতেরেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। দৃষ্টিনন্দন তিনটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু তাতেই মনে হচ্ছিল অতি আত্মবিশ্বাস ভর করেছে তার ওপর। যার খেসারত দিতে হলো ৫ম ওভারের ৫ম বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১৮ বলে ১৯ রান করে ফিরে যান তিনি।

সবাই হয়তো ভেবেছিলেন, সৌম্য গ্লোবাল টি-২০ লিগে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার ধারাবাহিকতা নিয়ে আসবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও; কিন্তু পুরনো ফর্মের ধারাবাহিকতাই টেনে আনলেন তিনি। দ্রুত আউট হয়ে বিপদে ফেললেন বাংলাদেশকে।

সৌম্য যদি বাংলাদেশ দলকে বিপদে ফেলে যান, তাহলে লিটন দাস ফেলেছেন মহা বিপদে। কারণ, তিনি ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে খেলেছেন ৭ বলে মাত্র ২ রানের ইনিংস।

৪৬ রানে ২ উইকেট পড়ার পর জুটি বেঁধে দলকে উদ্ধারের কাজ করেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৯ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন।

এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তানজিদ হাসান তামিম, কিন্তু ইনিংসটাকে আরও বড় করতে পারেননি না। ৬০ রানের মাথায় আউট হয়ে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। ৬০ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায়।

এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৬২ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। ২৯ বলে ২৮ করে আউট হন আফিফ। মিরাজ খেলছিলেন দেখেশুনে ধীরগতিতে। শেষ পর্যন্ত মারমুখী হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সিলসকে বড় শট খেলতে গেলে বল উঠে যায় আকাশে। ১০১ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় মিরাজের ইনিংসটি ছিল ৭৪ রানের।

এরপর মাহমুদউল্লাহ আর জাকেরের ঝোড়ো জুটিতে ২৯৪ রান পর্যন্ত গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ দুই বলে রান আসলে হয়তো ৩০০ ছোঁয়া হয়ে যেতো।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড ৫১ রানে ৩টি আর আলজেরি জোসেফ ৬৭ রানে নেন ২টি উইকেট।

এমএমআর/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত