সংক্ষিপ্ত স্কোর: ১৪ ওভারে বাংলাদেশ ১১০/৮ (তানজিদ ৩৩, ইমন ৮, লিটন ৬, হৃদয় ৫, জাকের ০, মিরাজ ২২*, শামীম ৭, রিশাদ ১, তানজিম ১৮*)
পাকিস্তান ২০ ওভারে ২০১/৬ (শাহিবজাদা ৭৪, সাইম ৪, হারিস ৪১, নওয়াজ ৫১*, সালমান ১৯, শাদাব ৭, ফাহিম ১)
তানজিমের টানা দুই ছয়ে বাংলাদেশের একশ
তানজিম হাসান সাকিব ১৩তম ওভারে হারিস রউফকে টানা দুটি ছক্কা মেরে বাংলাদেশের স্কোর একশ পার করলেন।
রিশাদের আউটে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
৪৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট পড়লো ৭৭ রানে। শাদাব খান দশম ওভারে রিশাদ হোসেনকে মোহাম্মদ হারিসের নিচু ক্যাচ বানালেন। ২ বল খেলেন বাংলাদেশি ব্যাটার।
হৃদয়-জাকেরের পর আবরারের শিকার শামীম
দারুণ শুরুর পর হঠাৎ বাংলাদেশের ছন্দপতন। বিনা উইকেটে ৪৪ রান করা দলটি ২৬ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারালো। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে ৫ রান করে আবরার আহমেদের শিকার হন তাওহীদ হৃদয়। তার মতো পরের বলে জাকের আলীকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পাকিস্তানি লেগস্পিনার। বাংলাদেশি ব্যাটার ডাক মারলেন।। শামীম হোসেন হ্যাটট্রিক বলে চার মারেন। তবে পাকিস্তানি স্পিনারের পরের ওভারে সাইম আইয়ুবকে ক্যাচ দেন তিনি। ৯ বলে ৭ রানে থামেন শামীম। ৯ ওভারে ৭০ রানে ছয় উইকেট পড়লো বাংলাদেশের।
৫৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করলো বাংলাদেশ
ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে লিটন দাস সিঙ্গেল নিয়ে দলকে পঞ্চাশের ঘরে নেন। তার আগে তানজিদ হাসান তামিমের ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশ দারুণ শুরু করে। পাওয়ার প্লের শেষ বলে লিটন হাসান আলীর শিকার হন। ৯ বলে ৬ রান করে মিড অনে হারিস রউফের সহজ ক্যাচ হলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ৫৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করলো সফরকারীরা।
তানজিদ ফিরলেন ৩৩ রানে
৪.৩ ওভারে ৪৬ রানে বাংলাদেশ হারালো দ্বিতীয় উইকেট। তানজিদ হাসান তামিম ১৯ বলে ৩৩ রান করে শর্ট ফাইনে আবরার আহমেদের ক্যাচ হন। বোলিংয়ে ছিলেন ফাহিম আশরাফ। ৫ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ছিল তানজিদের ইনিংস।
বড় শট খেলে হাসানের ক্যাচ ইমন
প্রথম তিন ওভারে বাংলাদেশের ৩৮ রানে ৩৩ রানই আসে তানজিদ হাসানের ব্যাটে। চতুর্থ ওভারে পারভেজ হোসেন ইমন চার মেরে হারিস রউফকে হতাশ করেন। পরের বলে হাসান আলীকে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরলেন ৮ রান করে। ৭ বলের ইনিংস ছিল তার। ৪৪ রানে ভাঙলো বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। ৩.৫ ওভারে প্রথম উইকেট হারালো সফরকারীরা।
প্রথম দুই ওভারে ৩২ রান তুললেন তানজিদ
দ্বিতীয় বলে সালমান আগাকে চার মেরে রানের খাতা খুললেন তানজিদ হাসান তামিম। পরের বলে আরেকটি চার। এরপর দুই রান নিয়ে পঞ্চম বলে ছক্কা। এক ওভারে বাংলাদেশকে ১৭ রান এনে দিলেন এই ওপেনার। পরের ওভারে হাসান আলী দুই নো বল দিলে সেই সুযোগে ১৫ রান তোলেন তানজিদ। প্রথম দুই ওভারে এলো ৩২ রান।
আবারও বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তান ২০১ রান করলো। ৬ উইকেট হারিয়ে তারা এই রান করে। ইনিংসের শেষ বলে ফাহিম আশরাফ (১) তানজিম হাসান সাকিবের শিকার হন। তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ হন তিনি। ওই ওভারে ২৫ বলে ফিফটি করা হাসান নওয়াজ ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে শাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিসের ১০৩ রানের জুটিতে শক্ত অবস্থান নেয় পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন শাহিবজাদা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম।
শাদাবকে ফেরালেন হাসান
১৯তম ওভারের শেষ বলে হাসান মাহমুদ ফেরালেন শাদাব খানকে। ১৯০ রানে ৫ উইকেট হারালো পাকিস্তান।
পাকিস্তান অধিনায়ককে ফেরালেন হাসান
নেমেই দুটি চার মেরেছিলেন সালমান আগা। পাকিস্তান অধিনায়ক ইনিংস বড় করতে পারলেন না। তৃতীয় চার মারার পরের বলে হাসান মাহমুদের শিকার হলেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে। ১২ বলে ৩ চারে ১৯ রান করেন তিনি। হাসান নওয়াজের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৫ রানের। ১৫.৪ ওভারে ১৬৬ রানে চার উইকেট হারালো পাকিস্তান।
হারিসের পর শাহিবজাদাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের স্বস্তি
ভুল বোঝাবুঝিতে সাইম আইয়ুব রান আউট হন। পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ১২ রানে। তারপর থেকে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন শাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিস। ৫০ বলে ১০০ রান তোলেন তারা দুজনে। ১১তম ওভারে তানজিম হাসান সাকিব ভাঙলেন পাকিস্তানের এই শক্ত জুটি। মোহাম্মদ হারিসকে শেষ বলে রিশাদ হোসেনরে ক্যাচ বানান তিনি। ভেঙে যায় শাহিবজাদার সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি। দলীয় ১১৫ রানে হারিস ২৫ বল চারটি চার ও দুটি ছয়ে ৪১ রানে থামেন। ৫ বলের মধ্যে রিশাদ হোসেনের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন শাহিবজাদা। ৪১ বলে চারটি চার ও ছয়টি ছয়ে ৭৪ রান করে লিটন দাসের ক্যাচ হন এই ওপেনার। ১২১ রানে তৃতীয় উইকেট পড়লো পাকিস্তানের।
হাফ সেঞ্চুরির পর জীবন পাওয়া শাহিবজাদার টানা দুই ছক্কায় একশ পার
নবম ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে শাহিবজাদা ফারহান মাইলফলক ছুঁলেন। ২৯ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে করলেন হাফ সেঞ্চুরি। দশম ম্যাচে প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন ফখর জামানের বদলে একাদশে ঢোকা এই ওপেনার। পাঁচ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। পরের ওভারে রিশাদ হোসেনের প্রথম বলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাত ফসকে জীবন পান শাহিবজাদা। ইনিংসের তৃতীয় বলেও একবার জীবন পান তিনি। একই ওভারে টানা দুই ছয় মেরে এই ওপেনার দলীয় স্কোর একশ পার করেন।
পাওয়ার প্লেতে হতাশ করলো বাংলাদেশ, পাকিস্তানের ৬৭ রান
পাওয়ার প্লেতে শাহিবজাদা ফারহানের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানি ওপেনারের ব্যাটিং ঝড়ে প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৬৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। এই সময়ে ছয়টি চার ও চারটি ছয় মেরেছে তারা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হাসান মাহমুদ টানা তিন চার হজম করেন মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। তিনি ২৩ রান করেন, ৩৯ রান আসে শাহিবজাদার ব্যাটে।
মিরাজ-হাসানের ওপর চড়াও শাহিবজাদা
তৃতীয় ওভারে শাহিবজাদা ফারহান টানা দুটি ছক্কা মারেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। পরের ওভারে হাসান মাহমুদকে চার বলের মধ্যে দুটি চার ও এক ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি ওপেনার। এই দুই ওভারে ১৪ ও ১৭ রান নেয় পাকিস্তান। তারা পরের ওভারে আর ৫ বল খেলে ৫০ রান তুলে ফেলে। তানজিম হাসান সাকিবকে ছক্কা মেরে দলকে ফিফটি এনে দেন শাহিবজাদা।
রান আউটে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলো
বাউন্ডারির কাছে বল পাঠিয়ে সাইম আইয়ুব ডাবলস নিলেন। তৃতীয় রান নিতে গিয়েই করলেন ভুল। ব্যাটিং প্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি, শাহিবজাদা ফারহান নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আবার ফিরতে গিয়ে সাইম পড়ে গেলে তাওহীদ হৃদয়ের থ্রোয়ে লিটন দাস ততক্ষণে স্টাম্প ভেঙে দেন। ৪ বলে ৪ রান করে আউট হন পাকিস্তানি ওপেনার। ১২ রানে ভাঙলো উদ্বোধনী জুটি।
তৃতীয় বলেই ক্যাচ ছাড়লেন তানজিদ
ইনিংসের তৃতীয় বলে শাহিবজাদা ফারহান ডাক মারতে পারতেন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তানজিদ হাসান তামিম তার কঠিন ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি। কাভার অঞ্চল থেকে পেছনে দৌড়ে সামনে লাফিয়ে বল ধরতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশি ফিল্ডার। কিন্তু হাত ফসকে বল মাটিতে পড়ে।
আবারও টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতেছে পাকিস্তান। তারা ব্যাটিং নিয়েছে। বাংলাদেশ আগে ফিল্ডিং করবে। দলে একটি পরিবর্তন এনেছে তারা। শেখ মেহেদী হাসানের বদলে জায়গা পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তান ওপেনার ফখর জামান চোটে পড়ায় ঢুকেছেন শাহিবজাদা ফারহান।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম।
পাকিস্তান একাদশ: শাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), সালমান আগা (অধিনায়ক), হাসান নওয়াজ, শাদাব খান, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।
সিরিজ বাঁচানোর মিশনে নামছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানে আজ শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ হারলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর আরও একটি ব্যর্থ টি-টোয়েন্টি মিশনে নাম লেখাবে লিটন দাসরা। তাই সিরিজ বাঁচাতে আজ জয়ের বিকল্প নেই তাদের। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।