[ad_1]
২০০৬ সালের ঘটনা। ভারতের হাইকোর্টে একজন বিচারক উকিলের সওয়াল–জবাব শুনছেন সকাল থেকে। এর মধ্যে দুপুর হয়ে গেল। কিন্তু রায় দেওয়ার মতো কোনো জায়গায় আসা গেল না। বিচারক মুলতবি ঘোষণা করে জানালেন, মামলার পরবর্তী তারিখ এক মাস পর। উকিল সাহেব আবেদন করলেন যে
তারিখ একটু এগিয়ে দেওয়া হোক। বিচারক জানালেন যে তালিকায় অনেক মামলা আছে। সম্ভব নয়।
বিচারক উঠে নিজের চেম্বারে রওনা হয়েছেন, মৃদুভাষী উকিল একটা কবিতার পঙ্ক্তির দ্বিতীয় লাইন পড়লেন:
‘কওন জিতা হ্যাঁয় তেরে জুলফ কে সর হোতে তক’
(কে বাঁচে তোমার কেশগুচ্ছ সাজিয়ে নেওয়া পর্যন্ত?)
কবিতা শুনে বিচারক থেমে গেলেন। উকিল সাহেবকে বললেন, প্রথম লাইনটাও পড়ুন। উকিল পড়লেন:
‘আহ কো চাহিয়ে ইক উম্র আসর হোতে তক’
(একটা দীর্ঘশ্বাসের ফল ফলতে একটা জীবন দরকার)
বিচারক চলে যাওয়ার আগে আদালতের কর্মচারীকে বললেন, এই মামলার তারিখ আগামী সপ্তাহে রাখবেন। বিচারকের নাম তিরথ সিং ঠাকুর। উকিল ছিলেন নাজমি ওয়াজিরি। মামলা চলছিল দিল্লি হাইকোর্টে। আর শেরটা মির্জা গালিবের।
মির্জা গালিব এই মামলায় খোদ উকিলের পরিত্রাতা হলেন। কিন্তু নিজের জীবনে ঝুটঝামেলা তাঁর পিছু ছাড়েনি। অর্থাভাব, পাওনাদারের অপমান আর আদালতে নালিশ, কয়েদবাস—কী ছিল না তাঁর জীবনে?
[ad_2]
Source link