[ad_1]
মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আমরা আজকের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করি। মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ মানুষ কেন জীবন দিয়েছেন? তারা একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক সমাজ চেয়েছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময়ে সেটি বাস্তবায়ন করেনি নানা কারণে।’
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নুরুল হক নুর অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আজকে যেহেতু একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে রাজনৈতিক দলগুলো এই সরকারকে সহযোগিতা করবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যে যে সংস্কার প্রয়োজন সেগুলোতে সরকারকে সবাই সহযোগিতা করবেন এবং সরকার সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।
‘ধন্যবাদ জানাচ্ছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে, যারা দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে আজকে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। গত দেড় দশকে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল। সে সময় বিরোধী দল করার কারণে আমাদের ফুল দিতে, শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়েও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, নাজেহাল হতে হয়েছে। আজ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছেন।’
তিনি বলেন, ‘এইবার যেহেতু একটা পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট। এ জন্য আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যেই জনআকাঙ্ক্ষা ধারণ করে ছাত্র-জনতা লড়াই করে, সংগ্রাম করে এই পরিবর্তনটা এনেছেন– সেই পরিবর্তনটা টেকসই এবং স্থায়ী হতে হবে।
‘৫৩ বছরে মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা– সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে একটা বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ করা, সেটা কিন্তু গত ১৫ বছরে আমরা সেইভাবে পাইনি। যার ফলে গোটা দেশের মানুষের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা নতুন করে বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধারণ করতে হবে, বাস্তব রূপ দিতে হবে। বিশেষ করে ছাত্র-জনতা, তরুণরা যেভাবে এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে রুখে দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন করার জন্য আগামীতেও তারা কাজ করবেন, আমরা সেই প্রত্যাশা করি।’
[ad_2]
Source link