[ad_1]
পবিত্র কোরআনে সুরা আরাফ, হুদ ও শুআরায় বিস্তারিতভাবে এবং সুরা হিজর ও আনকাবুতে সংক্ষিপ্তভাবে হজরত শোয়াইব (আ.) এবং তাঁর কওমের বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআনের মোট ১০টি স্থানে ‘শোয়াইব’ নামটি পাওয়া যায়। শোয়াইব (আ.)–এর আগমনকাল নির্দিষ্ট করে লিখিত পাওয়া যায় না। তবে কোরআনের বর্ণনামতে স্পষ্টই বোঝা যায় যে তিনি হজরত মুসা (আ.)–এর সামান্য কিছুকাল আগে আগমন করেন। যেহেতু হজরত মুসা (আ.)–এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়টি এবং তাঁর সঙ্গে মুসা (আ.)-এর দীর্ঘকাল কাটানো, তাঁর কন্যার সঙ্গে বিবাহ সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনায় সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
যেই কুয়া থেকে শোয়াইব (আ.)-এর কন্যাদের হজরত মুসা (আ.) পানি তুলে দিয়েছিলেন, তা বর্তমানে ‘মাগায়েরে শোয়েব’ এলাকা থেকে পাঁচ-ছয় শ মিটার দূরে অবস্থিত। এ কুয়ার পানি হজরত শোয়াইব (আ.)-এর আমলে মাদায়েনবাসী ব্যবহার করতেন। বিরে শোয়েব বা শোয়েব নবীর কূপটি সেখানে এখনো কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা আছে। অতীতে বেদুইনরা তাদের উট ও ছাগলের জন্য পানি সংগ্রহ করতে এখানে জড়ো হতো। কোরআনে রয়েছে শোয়াইব (আ.) তখন মুসা (আ.)–কে বললেন, আমার এ দুই মেয়ের একজনকে তোমার কাছে বিয়ে দিতে চাই, এ শর্তে যে তোমাকে আমার এখানে আট বছর চাকরি করতে হবে। আর যদি ১০ বছর পূর্ণ করো, তাহলে তা তোমার ইচ্ছা।…মুসা (আ.) জবাবে বললেন, আমার ও আপনার মধ্যে একথা ঠিক হয়ে গেল। (সুরা কাসাস, আয়াত: ২৬-২৮)
সম্ভবত মেয়ের বিয়ের সময়েই বৃদ্ধ শোয়াইব (আ.) তাঁর হাতের লাঠি উপহার দিয়েছিলেন মুসা (আ.)–কে। সে অঞ্চলের প্রাচীন রীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কন্যা বিয়ে দেওয়ার নিদর্শন হিসেবে এখনো সেখানে জামাতাকে হাতের যষ্ঠী বা খঞ্জর উপহার দেওয়ার প্রচলন রয়েছে।
[ad_2]
Source link