[ad_1]
জামায়াতের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে দলটির আমির বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর খুন, গুম করে ওদের পিপাসা নিবারণ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২৪-এর পয়লা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই সময়টায় তারা সারা দেশে মহাতাণ্ডব চালিয়েছে। কী চেয়েছিল আমাদের কলিজার টুকরা সন্তানেরা। কী এমন ছিল তাদের দাবি। তারা গদি ধরে টান দেননি। তারা বলেছিল, কোটা রাখেন, তবে যুক্তিসংগত সংস্কার করে। সহ্য হলো না মুগর বাহিনীকে ঢুকিয়ে দিল। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছেলেদের তো পেটালোই, কলিজার টুকরা মেয়েদেরও পেটানো হলো। ফায়ার ওপেন করল। গুলি করা হলো। এরা যেন মানুষ নয়। পশু শিকার গোশত খাবে, এমন মনমানসিকতা। কতজন আদম সন্তানকে দুনিয়া ছাড়া করেছে, কেউ হিসাব দিতে পারবে না। আমরা যেখানেই শহীদের খবর পেয়েছি, ছুটে গিয়েছি। কিন্তু সবার কাছে যেতে পারিনি। কারণ, সবার খোঁজ পাওয়া যায়নি। যাঁরা রক্ত দিয়ে আজকের এই পরিবেশ দিয়ে গেছেন, তাঁদের কাছে আমরা সারা জাতি ঋণী ও কৃতজ্ঞ।’
শহীদদের কোনো দলীয় পরিচয় নয় উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, আপনাদের দলের কয়জন শহীদ হয়েছেন? আমি বলেছি, যাঁরা শহীদ হয়েছেন, আমরা তাঁদের দলের মানুষ। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা সবাই আমাদের দলের মানুষ। জামায়াতে ইসলামী হিসেবে আমাদের দল নয়, মানবজাতি হিসেবে আমাদের দল। তাঁদের কোনো দলীয় পরিচয়ে আমরা সংকীর্ণ পরিসরে নামাতে চাই না। তাঁরা আমাদের জাতীয় সম্পদ, জাতীয় বীর। তাঁদের মাথার ওপর শ্রদ্ধায় তুলে রাখতে চাই।’
[ad_2]
Source link