[ad_1]
যশোর প্রধান ডাকঘরের সংস্কারাধীন ভবনের ড্রাইভারদের বিশ্রাম কক্ষ থেকে রবিউল ইসলাম (৪০) নামে এক নৈশপ্রহরীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) মধ্যরাত থেকে সোমবার (২৬ মে) সকাল ৭টার মধ্যে কোনো এক সময় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত রবিউল ইসলাম মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার ধোয়াইল গ্রামের আলী আকবরের ছেলে।
রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে অন্য নৈশপ্রহরী দাউদ হোসেন বিশ্রাম কক্ষে রবিউল ইসলামের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাৎক্ষণিক পোস্ট অফিসের ডিপি জিএম মাজাহার হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করেন।
জানা যায়, নিহত রবিউল ইসলামের মরদেহ উপুড় অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল ও তার দুই হাত পেছনে ছিল। নিহতের গলায় ব্যান্ডেজ কাপড়ের ছেঁড়া একটি রশি জড়ানো ছিল ও রশির অপর অংশ ছাদের লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে অর্ধেক ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। গলায় ফাঁসের চিহ্ন ও বাম চোখের ওপরে একটি রক্তাক্ত কাটা দাগ দেখা গেছে। তবে শরীরে অন্য কোনো বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসার পর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মিলন রহমান/এমএন/এমএস
[ad_2]
Source link