গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ৬৩৯ ধরনের পোশাক আমদানি করেছে। এর মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে কটন ট্রাউজার। এই পণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত বছর ১৪৪ কোটি ডলারের কটন ট্রাউজার রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। শীর্ষে থাকা পণ্যটির রপ্তানি গত বছরের চেয়ে সামান্য কম। তার মানে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা দুর্বল হতে শুরু করেছে।
পরিমাণ ও শতাংশের হারের তুলনা করে দেখা গেছে, কটন পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। দুই দেশেরই তুলার কাপড়ের পোশাকে নির্ভরতা বেশি। অন্যদিকে পরিমাণের হিসাবে তুলার কাপড়ের পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনাম। দেশটি গত বছর কটন পোশাক রপ্তানি করেছে ৫৭৬ কোটি ডলারের। বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৫৭০ কোটি ডলারের।
বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারসের (পিডব্লিউসি) এক গবেষণায় বলেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানি বেড়ে ১ হাজার ১২১ বিলিয়ন বা ১ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়াবে। সেখানে কৃত্রিম তন্তু দিয়ে তৈরি পণ্যের হিস্যা হবে ৬০ শতাংশ। এখানে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে (২০২২ সালের হিসাব) চীন, ভিয়েতনাম, তুরস্ক ও ইতালি কৃত্রিম তন্তুর পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে মোট পোশাক রপ্তানির বিপরীতে কৃত্রিম তন্তুর পোশাকে চীনের হিস্যা ৬২ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৫৬ শতাংশ, তুরস্কের ৪৮ শতাংশ ও ইতালির ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২৭ শতাংশ কৃত্রিম তন্তুর পণ্য।