[ad_1]
ইসরায়েল বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের দাহিয়েহ এলাকায় হিজবুল্লাহর ২০টি লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে এই আক্রমণ চালানো হয়। এমন সময়ে এসব হামলা চালানো হয়েছে যখন ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা লেবাননে যুদ্ধবিরতি অনুমোদনের জন্য বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। টাইমস অব ইসরায়েলে এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানায়, ২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তাদের সেনারা লিতানি নদীর এমন একটি অংশে পৌঁছেছে, যা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।
হামলার আগে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ২০টি ভবন খালি করার জন্য একটি ব্যতিক্রমী সতর্কতা জারি করে আইডিএফ। এরপর মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী সব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এই অভিযানে ৮টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
আইডিএফ জানায়, হামলায় ৭টি ভবন ছিল হিজবুল্লাহর অর্থ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কেন্দ্র। এগুলোতে সদর দফতর, ভল্ট ও আল-কর্ড আল-হাসান অ্যাসোসিয়েশনের শাখা অন্তর্ভুক্ত। এটি হিজবুল্লাহর একটি কুইসি-ব্যাংক হিসেবে পরিচিত।
অন্য ১৩টি স্থাপনার মধ্যে ছিল হিজবুল্লাহর বিমান শক্তি কেন্দ্র, গোয়েন্দা বিভাগ পরিচালনার কক্ষ, অস্ত্রাগার এবং অন্যান্য সামরিক অবকাঠামো। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে উত্তর ফ্রন্টে অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুমোদন দিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইডিএফের চিফ অব স্টাফ লে. জেনারেল হার্জি হালেভি, অপারেশন ডিরেক্টরেট প্রধান মেজর জেনারেল ওডেড বাসিউক, ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট প্রধান মেজর জেনারেল শ্লোমি বিন্ডার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বড় ধরনের হামলার কিছুক্ষণ আগে লেবাননের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি ব্যতিরেকে আরেকটি বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। এতে ধারনা করা হচ্ছে এটি হয়ত কাউকে হত্যার চেষ্টা ছিল।
মঙ্গলবার সকালে আইডিএফ জানায়, হিজবুল্লাহর মিসাইল ইউনিট এবং কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। সেখানেও ভবন খালি করার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার বৈরুতে ২৬টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে এবং সপ্তাহজুড়ে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০-এ। চলমান সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর ৩৩০টি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে ইসরায়েল। ২০০৬ সালের দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধে এই সংখ্যা ছিল ১৪০।
এই আক্রমণ নিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তিকে দুর্বল করে আঞ্চলিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। তবে লেবাননের পক্ষ থেকে হামলার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
[ad_2]
Source link