Homeদেশের গণমাধ্যমেযুবদল নেতা হত্যায় ১০ বছর পর আ.লীগের ৩৪ নেতাকর্মীর নামে মামলা

যুবদল নেতা হত্যায় ১০ বছর পর আ.লীগের ৩৪ নেতাকর্মীর নামে মামলা

[ad_1]

সিরাজগঞ্জে জবান আলী নামে এক যুবদল নেতা হত্যায় ১০ বছর পর আওয়ামী লীগের জ্ঞাত-অজ্ঞাত ৩৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত যুবদল নেতা জবান আলী সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব বাঐতারা গ্রামের মৃত আজিজল হকের ছেলে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মোকাম সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে নিহত জবানের বড় ভাই আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মন্ডল, ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন, সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম হাজি, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন, যুবলীগ নেতা রিগেনসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ওই আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলী আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট মো. বিল্লাল হোসেন সদর থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। আমি ও আমার ছোট ভাই জবান বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা। তাদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারা মাঝে মধ্যেই জবান আলীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি জবান ঢাকা থেকে ফিরে এসে স্থানীয় কড্ডার মোড় এলাকায় নামলে তাকে অপহরণ করে আসামিরা। এরপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাইনি। পরে ওই বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রধান আসামি নবিদুল ইসলাম ফোন দিয়ে জানায় আমার ভাইকে আটকে রেখেছে। যদি তাকে জীবিত চাই তাহলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। পরদিন ২০ জানুয়ারি ধার দেনা করে আসামিদের ১০ লাখ টাকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা টাকা নিয়েও জবান আলীকে ফিরিয়ে দেয়নি। আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। এরই এক পর্যায়ে ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়কের কোনাগাতী ব্রিজের উত্তরে রাস্তার পাশে জবান আলীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, জবান আলী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ নেতা নাসির উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা টিক্কা হত্যাসহ ৭ মামলার আসামি ছিলেন। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৩টার দিকে পুলিশ তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত