Homeদেশের গণমাধ্যমেযে কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে গিয়েছিল প্রাইভেটকারটি

যে কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে গিয়েছিল প্রাইভেটকারটি

[ad_1]

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন।

দুর্ঘটনার পরপরই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি নিয়ে লোকজনের মাঝে আলোচনা ও সমালোচনা তৈরি হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনের রাস্তার পাশ দিয়ে সাত জন শিক্ষার্থী হেঁটে যাচ্ছেন। এ সময় আচমকা পেছন থেকে সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকার এসে সাত জনকেই চাপা দেয়। এ সময় কয়েকজন প্রাইভেটকারের নিচে পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

বিমানবন্দর এলাকার মতো এত প্রশস্ত সড়কে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে গেলো তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে এই দুর্ঘটনার কারণ জানা গেছে। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার আগেই চলন্ত প্রাইভেটকারটির একটি চাকা ফেটে হয়ে যায়। পরে অনেক চেষ্টা করেও গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি চালক। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের চাপা দেয় গাড়িটি।

এ ঘটনায় ওইদিনই ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন আহত শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদের চাচাতো ভাই আরিফ আকন্দ।

পুলিশ জব্দ করেছে প্রাইভেটকারটি

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর সকালে নৌবাহিনীর সিপাহী পদে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ওই সাত শিক্ষার্থী রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ‘বানৌজা শেখ মুজিব’-এর মাঠে যান। পরীক্ষা শেষে তারা দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য অটোরিকশায় নিকুঞ্জ এলাকায় আসেন। সেখানে ভালো কোনও হোটেল না পেয়ে হেঁটে বিমানবন্দরের দিকে রওনা হন তারা। পরে বিমানবন্দর এলাকায় বনরূপা ইউলুপ ফ্লাইওভারের নিচে দ্রুতগতিতে আসা একটি প্রাইভেকার তাদের ওপরে উঠে যায়। এতে তিন জন গুরুতরসহ সাত জনই আহত হন। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতরা হলেন মামুনুর রশিদ (১৮), সামিউল ইসলাম (১৮), নুর আলম (১৯), মো. রাকিব হাসান (১৯), শ্রী সম্পদ সেন (১৮), আতিক মাহাবুব নুর (১৮) ও  মো. ফজলে রাব্বী (১৯)। এছাড়া আরেকজনের নাম জানা যায়নি। এদের সবার বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়।

আহত শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদের চাচাতো ভাই মো. আরিফ আকন্দ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ ঘটনায় আমার ভাইসহ সাত জন আহত হয়েছে। সবার পা ভেঙে গেছে, কেউ মাথায় আঘাত পেয়েছে। চিকিৎসা শেষে আমার ভাইকে রংপুরে নিয়ে এসেছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন পাঁচ থেকে আট মাস লাগবে পুরোপুরি সেরে উঠতে। সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে সামিউল। তার পায়ের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। সে এখন রংপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছে।

এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  প্রাইভেটকার চাপায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। প্রথমে চালক মোস্তাফিজুর রহমান (৪৮) পালিয়ে গেলেও পরে তাকে আটক করেছি। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। এছাড়া প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গাড়িটির চালক মোস্তাফিজুর রহমান (৪৮) রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করেন। তিনি নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, ঘটনার আগে চলন্ত অবস্থায় প্রাইভেটকারটির একটি চাকা ফেটে যায়। এতে তিনি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। একপর্যায়ে পেছন থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়।

পরিদর্শক (তদন্ত) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েও গাড়িটির একটি চাকা ফাটা অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। এছাড়া অন্য কোনও কারণ খুঁজে পাইনি। চালককে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।  চালক মোস্তাফিজুর এখন কারাগারে আছেন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত