Homeদেশের গণমাধ্যমেরাখাইনে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ৪০, দাবি বিদ্রোহীদের

রাখাইনে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ৪০, দাবি বিদ্রোহীদের

[ad_1]

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে অন্তত ৪০ জন নিহত ও ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। দেশটির একটি জাতিগত সশস্ত্র আরাকান আর্মি এবং স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এই দাবি করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার রাখাইনের রামরি দ্বীপের কিয়াউক নি মাও গ্রামে এ হামলা চালানো হয়। এলাকাটি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। হামলায় বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে শতাধিক বাড়ি পুড়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছে।

আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুখা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, একটি যুদ্ধবিমান বুধবার বিকালে গ্রামটিতে বোমা বর্ষণ করে। এতে ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। হামলার ফলে ৫০০টিরও বেশি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থার নেতা বলেছেন, গ্রামের বাজারে হামলা হয়। এতে অন্তত ৪১ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন। চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে আহতদের যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী এ হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। দ্য গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে হামলায় হতাহতের সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, কারণ ওই এলাকার ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ রাখা হয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর দেশটিতে সহিংসতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। সামরিক শাসনের বিরোধিতাকারীরা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং এখন দেশের অনেক অংশ সংঘাত চলমান।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সশস্ত্র গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠী ও জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর ওপর বিমান হামলা বাড়িয়েছে। আরাকান আর্মি এসব সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম। এটি রাখাইন রাজ্যের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে এবং সম্প্রতি রাখাইনের বেশিরভাগ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরাকান প্রিন্সেস মিডিয়া জানিয়েছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা অগ্নিকাণ্ড নেভানোর চেষ্টা করছে। সংস্থাটি এ ঘটনার ছবি অনলাইনে পোস্ট করেছে।

রাখাইন অতীতে আরাকান নামে পরিচিত ছিল। ২০১৭ সালে সামরিক অভিযানের মুখে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত