[ad_1]
রাজধানীর বনানীতে ৯ বছরের শিশুসহ সম্প্রতি সংঘটিত সব ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে গায়িকা শায়ান বলেন, ‘আমাদের সমাজে যৌন নিপীড়নকে স্বাভাবিকীকরণ করা হয়। ধর্ষণ হওয়া ব্যক্তিরা প্রথমত অপরাধের শিকার হয়, দ্বিতীয়ত মানুষ তাদের ঘৃণা করে। ধর্ষণের বিষয়ে আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। ধর্ষক যেই হোক তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নওরিন সুলতানা তমা প্রাথমিকভাবে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো
১. ৯ বছরের শিশুসহ সম্প্রতি সংঘটিত প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুততম সময়ে ধর্ষকদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২. শিশুটির এবং সম্প্রতি সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় নারীদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে। ধর্ষণের শিকার নারীদের চিকিৎসার ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
৩. দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনগুলোর যৌক্তিক সংস্কারের জন্য কমিটি গঠন করতে হবে।
৪. ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি, ধর্ষণের শিকার নারী ও তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ এবং ধর্ষকদের শাস্তির ব্যাপারে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শিশু ধর্ষণসহ যেকোনও ধরনের ধর্ষণের শিকার নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সরকারি উদ্যোগে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশের আয়োজক ছিলেন নূমান আহমাদ চৌধুরী, নওরীন সুলতানা, আরিফুল ইসলাম, মাইশা মালিহা, শাকিরা তামান্না, রাহী নায়াব ঐশী, আকাশ বিশ্বাস ও কাজী রুবাইয়া রাহাত মাটি।
[ad_2]
Source link