Homeদেশের গণমাধ্যমেরাজনীতিবিদদের আচরণ কি পাল্টেছে | প্রথম আলো

রাজনীতিবিদদের আচরণ কি পাল্টেছে | প্রথম আলো

[ad_1]

কেউ কেউ বলেন, আর্টিকেল-৭০ না থাকলে সংসদ সদস্য কেনাবেচা হবে, স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের পর পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে এমন অবস্থা হয়েছিল। একবার দেখা গেল, সকালে একটা মন্ত্রিসভা গঠিত হলো, তো বিকেলে দেখা গেল সেটি অস্তাচলে গেছে। উদয় হয়েছে আরেকটি মন্ত্রিসভা। প্রশ্ন হলো, হাটে কেনাবেচা হতে পারেন—এমন লোককে দল কেন টিকিট দেবে আর মানুষই-বা তাঁকে কেন ভোট দেবেন? দলের লোককে এত অবিশ্বাস করলে দল চলবে কীভাবে?

দলের লোক যে কেনাবেচা হয়—এ আশঙ্কা এখনো আছে। মনে আছে, আবার ১৯৮৬ সালে এরশাদের অধীন আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির পাঁচজন নৌকা মার্কা নিয়ে জয় পেয়েছিলেন। পরে তাঁদের মধ্যে দুজন বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে বিএনপির দুজন সংসদ সদস্যকে ভাগিয়ে এনে প্রতিমন্ত্রী করেছিল। কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সবাইকে কেনা যায়, আমাকে কেনা যায় না।’ এ উক্তির মধ্যে দুটো সত্য আছে। এক. তাঁর দলের লোকেরা কেনাবেচার পণ্য; দুই. তাঁকে কেনা যায় না, কারণ তিনিই তো মালিক।

নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই নিত্যনতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। রাজনীতি ক্রমাগত সহিংস হবে। দলের টিকিট পেতে যাঁরা মরিয়া, তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়াবেন। শোডাউন, মারামারি, খুনোখুনি হবে। একবার টিকিট পেয়ে গেলে তখন তাঁরা সংঘাতে জড়াবেন প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থীর সঙ্গে। সেখানেও চলবে পরস্পরের সমাবেশ ভাঙা, মারামারি, খুনোখুনি। পাঁচ দশক ধরেই এটা চলে আসছে। কোথায় নির্বাচন উৎসবের আমেজ নিয়ে আসবে তা নয়, এটা হবে আতঙ্কের বিষয়।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত