[ad_1]
পানির অপর নাম জীবন। একজন মানুষের সুস্থ থাকার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে সঠিক সময়ে এবং পরিমাণমতো পানি পান করা। তবে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানি পান করা উচিত হবে কি না। বিশেষ করে, যাদের ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই প্রশ্নটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
রাতের পানি পানের উপকারিতা: দিন শেষে শরীর ক্লান্ত ও আর্দ্রতাহীন হয়ে পড়ে। ঘুমানোর আগে অল্প পরিমাণ পানি পান করলে হালকা কিছুটা পানিশূন্যতা রোধ হয়, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে এবং হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ককে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি রক্তঘনত্ব হ্রাস করে, ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে।
প্রয়োজন সতর্কতা: সবাই রাতের বেলা পানি পান থেকে সমানভাবে উপকৃত হন না। বিশেষত, যাদের রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা (নোক্টুরিয়া) আছে, তাদের জন্য ঘুমের আগে অতিরিক্ত পানি পান বিরক্তিকর হতে পারে। বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার ফলে বিশ্রামে বিঘ্ন ঘটে এবং দিনভর ক্লান্তি ভর করতে পারে।
রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ: বয়সজনিত কারণে কিডনির ফিল্টার ক্ষমতা কমে যাওয়া, ডায়াবেটিস বা প্রোস্টেটজনিত সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপজনিত ওষুধ বা ডাইরেটিক গ্রহণ, সন্ধ্যার পর বেশি চা-কফি পান, মানসিক চাপ বা উদ্বেগ ইত্যাদি কারণে অনেকের রাতের বেলা ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।
করণীয় কী: সন্ধ্যার পর থেকে পানি গ্রহণ সীমিত করতে হবে, বিশেষ করে শোবার দুই ঘণ্টা আগে। দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, যাতে শরীর রাতের আগে প্রয়োজন মেটাতে পারে। রাতের খাবারে অতিরিক্ত লবণ বা ক্যাফেইন এড়িয়ে চলতে হবে। উপসর্গ বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
রাতে কখন পানি পান করা উচিত: যদি নোক্টুরিয়ার
সমস্যা না থাকে, তবে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে অর্ধেক বা এক গ্লাস পানি পান উপকারী হতে পারে। তবে যদি ঘুম বারবার বিঘ্নিত হয়, সে ক্ষেত্রে ঘুমের আগে পানি পান এড়িয়ে চলাই উত্তম। ঘুমের মাঝে কিডনি স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরগতিতে কাজ করে। ঘুমানোর ঠিক আগে পানি পানে কিডনির ওপর প্রচুর চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরিমিত ও সময়োপযোগী পানি পানই সুস্থ জীবনধারার মূল চাবিকাঠি।
ডা. আশরাফুল হক
সহকারী অধ্যাপক
ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
[ad_2]
Source link