[ad_1]
১২ বছরেরও বেশি সময় আগে লন্ডনে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারানো এক কিশোরের মা এই মামলার সন্দেহভাজন ঘাতককে খুঁজে বের করতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। লন্ডনের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বিশ্বাস ঘাতক হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে পালিয়ে এসে বসবাস করছেন।
২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি লন্ডনের অন্যতম ধনী এলাকা পিমলিকোতে ১৬ বছর বয়সী হানি হিচাম আবু এল খেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ওল্ড বেইলিতে একটি বিচারের পর, পাঁচ জনকে তার হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং মোট ১৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে একজন সন্দেহভাজন এখনও পলাতক এবং তার অবস্থান সম্পর্কে তথ্যের জন্য আপিল করা হয়েছে।
দিলাওয়ার হোসেন, যিনি এখন ৩৩ বছর বয়সী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং লন্ডনে বেড়ে ওঠার আগে প্যাডিংটনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হত্যার চার দিন পর পুলিশ পিমলিকোর রামপেইন স্ট্রিটে দিলাওয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কিন্তু তার কোনও সন্ধান পায়নি। বার্কিংসাইড ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০১৩ সালের ২১ মার্চ একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এবং তদন্তে জানা যায় যে দিলাওয়ার, যার বয়স তখন ২১ বছর ছিল সে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে।
মামলার নেতৃত্বদানকারী গোয়েন্দা প্রধান পরিদর্শক মার্ক রজার্স বলেছেন যে, কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন দিলাওয়ার এখনও বাংলাদেশে আছেন।
মা বললেন ছেলেকে ‘হিংস্র মানুষ’ হত্যা করেছে
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে যে, দিলাওয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে এবং ‘হানির হত্যার’ জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নিহত কিশোরের মা পলিন হিকিও দিলাওয়ার হোসেনের অবস্থান সম্পর্কে তথ্যের জন্য আবেদন করেছেন। মিস হিকি বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে হানিকে একদল বন্য বর্বর একটি ব্যস্ত রাস্তায় খুঁজে বের করে আক্রমণ করে হত্যার ১২ বছর হয়ে গেছে। যদিও তার হত্যার জন্য বেশ কয়েকজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে, একজন সন্দেহভাজন এখনও মুক্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘হানি যখন নিহত হয় তখন সে ছিল বালক ছিল। তার পুরো জীবন বেঁচে থাকার ছিল এবং এটি নির্মমভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যুবেদনা কমে না। দিলাওয়ার হোসেন এখন পর্যন্ত ন্যায়বিচার এড়িয়ে গেছেন জেনে আরও বেশি কষ্ট অনুভূত হয়। যদি আপনারা সাহায্য করতে পারেন, তাহলে আমি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করবো।’
ডিসিআই রজার্স বলেন, ‘দিলাওয়ার হোসেনের অবস্থান সম্পর্কে তথ্যের জন্য আমি আবেদন করছি। হানির মা পলিন ন্যায়বিচারের জন্য এবং তার ছেলের হত্যার জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আমরা তার জন্য এটি অর্জনে সহায়তা না করা পর্যন্ত বিশ্রাম নেবো না।’
[ad_2]
Source link