বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছে সরকার। তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের মতো শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি জানিয়েছেন।
রোববার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) নেতারা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। সমিতির নেতা অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আমরাও সরকারি চাকরিজীবীদের মতো শতভাগ উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাতা চাই।
একইসঙ্গে তিনি বৈষম্য দূর করতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অতি দ্রুত শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণার দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষক নেতারা।
এর আগে, বেলা ১১টায় শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে তারা পুনরায় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
সমাবেশে অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ জানান, অধিদপ্তরের সঙ্গে তাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে এবং এপ্রিল মাসের বেতন ছাড় করা হয়েছে যা আগামীকালের মধ্যে সবাই পেয়ে যাবেন।
তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তারা শুধু শিক্ষকদের বোনাস বৃদ্ধি চান না, বরং শিক্ষক-কর্মচারী সবার শতভাগ বোনাস বৃদ্ধি চান। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবীদের মতো সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।