বুনো পরিবেশে ময়ূর ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি নিয়ে কথা হচ্ছিল পাখিবিশেষজ্ঞ ইনাম আল হকের সঙ্গে। তিনি মনে করেন, শালবনে ময়ূর ছেড়ে আমরা পাখিটিকে আবার প্রকৃতিতে ফিরিয়ে আনতে পারি। এর জন্য শুধু দরকার নিরাপদ এলাকা আর দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণব্যবস্থা। পাখিগুলোকে কয়েক বছর বনের ভেতর সেগুলোর মতো করে থাকতে দিতে হবে। রোগ নির্ণয় করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, শত্রুর হাতে সেগুলো যেন মারা না যায়, সেদিকে খেয়াল করতে হবে।
ইনাম আল হক বলেন, কৃত্রিম প্রজননকেন্দ্রের ময়ূর বুনো পরিবেশে গেলে শত্রু চিনতে পারে না। তাই ছাড়ার সময় সেগুলোকে শত্রু চেনাতে হবে। দিনের বেলা পাখিগুলো মাটিতে থাকলেও রাতে যেন শত্রুর হাত থেকে বাঁচতে গাছে উঠে থাকে, তা শেখাতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া বনের চারপাশে ক্যামেরা বসিয়ে বা ময়ূরের শরীরে স্যাটেলাইট যন্ত্র বসিয়ে নজরদারি করা যেতে পারে।
এ মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশের দুটি জায়গায় ময়ূর ছেড়ে তদারকি করতে পারি। এর একটি মধুপুর শালবন। সেখানে গতকাল ময়ূর ছাড়া হয়েছে। অন্য জায়গাটি হলো পঞ্চগড়। এই এলাকার কাছে ভারতীয় বুনো ময়ূরের আবাস রয়েছে। সীমানা পেরিয়ে সেগুলো নিয়মিত
এপারে আসে। পঞ্চগড়ে রোগমুক্ত ময়ূর ছাড়লে সহজেই প্রকৃতিতে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।