[ad_1]
শ্রমিকদের কর্মসূচিতে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘একসময় খুলনার নাম উঠলেই আরেকটি শব্দ যুক্ত হতো, সেটি হলো শিল্পনগরী খুলনা। কিন্তু সেই শিল্পনগরী এখন বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরের দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে ধ্বংস হয়ে গেছে রূপসা-ভৈরবতীরের চিরচেনা শিল্পনগরী। যেখানে ২৪ ঘণ্টা শ্রমিক-কর্মচারীর কোলাহলে মুখর থাকত, আজ সেসব জায়গায় সুনসান নীরবতা।
শিল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, খুলনার শিল্পকারখানাগুলোর এই করুণ পরিণতির পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিষবৃক্ষ। কর্তৃপক্ষের দূরদর্শিতার অভাব, লাগামছাড়া পরিচালন ব্যয় এবং সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে লোকসান ক্রমে বেড়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের চাপানো নীতিও এই শিল্প ধ্বংসের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন অনেকে।
শিল্পের এই বিপর্যয় শুধু শ্রমিকদের জীবনকেই দুর্বিষহ করে তোলেনি, বরং এর প্রভাব পড়েছে শহরের অর্থনীতি ও সামাজিক জীবনেও। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা, নতুন বিনিয়োগের অভাব এবং একসময়ের সমৃদ্ধিশালী খুলনার পরিচিতি হারানোর বেদনা—সব মিলিয়ে এক বিবর্ণ বাস্তবতার মুখোমুখি এই শহর।
শিল্পনগরীর তকমা হয়তো আর আগের মতো উজ্জ্বল হবে না, কিন্তু সমন্বিত চেষ্টায় খুলনা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে—এমনটাই বিশ্বাস এখানকার মানুষের।
[ad_2]
Source link