[ad_1]
জাতি হিসেবে আমরা অনেক বিষয়েই উদাসীন। এর মধ্যে শিশুদের প্রতি আমাদের জাতিগত ঔদাসীন্য ও অবহেলা খুবই উদ্বেগজনক। তারাই যে দেশের ভবিষ্যৎ, সে কথা সবাই জানি এবং অহরহ বলে আসছি। কিন্তু সমাজের বয়স্কদের দিকে তাকালে আমরা কি বলতে পারব, তাঁদের শৈশবের বিকাশপর্ব ঠিকভাবে অতিবাহিত হয়েছিল?
আমরা দেখি, সত্য গোপন শুধু নয়, সামান্য সুবিধার জন্যও অবলীলায় মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া মোটেও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয় এ সমাজে। সহজেই মানুষ ছোট-বড় দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে, স্বজনের উপকারে পক্ষপাতদুষ্ট কাজে সোৎসাহে সক্রিয় হতে দেখা যায়। ক্ষমতার দাপটে এখানে অহরহ নিয়ম ভেঙে পড়ে, আইন থমকে যায়।
মানুষের মধ্যে স্বার্থপরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। যেন আদিকালের শিকারিজীবনের চাপা পড়া হনন–প্রবৃত্তির নিয়ন্ত্রণ টুটে গিয়ে বহু মানুষ এখন হিংসায় উন্মত্ত এবং একমাত্র জিঘাংসাতেই সংঘাতের মীমাংসা খুঁজছে। মানুষের ভোগবাসনার দাপট দেখে বোঝা যায়, শৈশবে তাদের সুকুমারবৃত্তি ও সংবেদনশীলতার জমিন ঠিকভাবে কর্ষিত হয়নি।
অভিভাবকেরা সন্তানদের শৈশবকে ফলাফলের ইঁদুরদৌড়ে এতটাই ব্যস্ত রেখেছিলেন যে বড় হয়ে তারা নিজেদের সুপ্ত ক্ষমতা ও প্রতিভার উন্মেষ ঘটাতে পারেনি। ফলে শিশুর সুষ্ঠু বিকাশে যত্নের যে অভাব ঘটছে, সেই বাস্তবতা কেবল বঞ্চনা নয়, শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা।
পুরুষশাসিত এ সমাজে পুরুষের মানবিক অক্ষমতার করুণ বাস্তবতা প্রায়ই ঘটে থাকে নারী ও শিশুর প্রতি কদর্য নিষ্ঠুরতায়। শিশুর পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার মতো নির্মমতা ভাবা যায়! এমন সমাজে শিশু ও নারী উভয়েই নানা অনাচার-অবিচারের ভুক্তভোগী। বুঝতে হবে যে কেবল কঠোর আইন আর কঠিন শাস্তিতে এই সামাজিক ব্যাধির সমাধান হবে না।
[ad_2]
Source link