Homeদেশের গণমাধ্যমেশি জিনপিংকে নিজের অভিষেকে আমন্ত্রণ জানালেন ট্রাম্প  

শি জিনপিংকে নিজের অভিষেকে আমন্ত্রণ জানালেন ট্রাম্প  

[ad_1]

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে তার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। একাধিক সূত্রের বরাতে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। 

সিবিএস এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কিছুদিন পরই শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে তিনি তা গ্রহণ করেছেন কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে, এনবিসি নিউজকে শুক্রবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন ও চলতি সপ্তাহেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত চীনের প্রেসিডেন্টের যোগদান করলে, সেটি হবে নজিরবিহীন একটি ঘটনা। নিজের হবু প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে চীনবিরোধী ব্যক্তিদের মনোনীত করে রেখেছেন ট্রাম্প। তাদের একজন হলেন পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত সিনেটর মার্কো রুবিও। এছাড়া ট্রাম্প তার নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় চীনের ওপর শুল্ক আরোপের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্টা উত্তপ্ত করে রেখেছেন। যেমন ফেন্টানিল নামক মাদকের চোরাচালান বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ না নিলে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ এমনকি ৬০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

এর প্রতিক্রিয়ায়, চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সতর্ক করে বলেছিল, ফেন্টানিল সংক্রান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের অঙ্গীকার করে বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশকে মারাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছেন ট্রাম্প।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জিয়ে ফেং ওয়াশিংটনে বুধবার আয়োজিত একটি ইউএস-চায়না বিজনেস কাউন্সিল গালায় শি জিনপিংয়ের একটি চিঠি পড়ে শোনান। চিঠিতে শি জিনপিং বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রস্তুত বেইজিং। সংঘাতের পরিবর্তে সংলাপ ও জিরো-সাম গেইমের পরিবর্তে উভয়ের জন্য মঙ্গলকর এমন সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ বেছে নেওয়া উচিত। 
চিঠির পড়া শেষে রাষ্ট্রদূত জিয়ে বলেন, উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সাপ্লাই চেইন ছিন্ন করা উচিত নয়। 

অন্যদিকে, বেইজিংয়ে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নস ধারণকৃত এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ককে অনেক সময় মিষ্টি কথায় লুকানোর চেষ্টা করে বেইজিং। কিন্তু যতই মিষ্টি মধুর সংলাপ চলুক, দুদেশের মৌলিক আদর্শগত পার্থক্য আড়াল করা সম্ভব নয়। 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত