[ad_1]
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১২:৩৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনপদ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চারদিক। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ। হিমেল বাতাসে শীতকষ্টে পড়েছে গৃহপালিত পশুপাখিরাও।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এদিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ার যানবাহনগুলো হেট লাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সাথে যাতায়াত করছে। কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না।
শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুনের কুণ্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে। এরই মধ্যে শীত নিবারণে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। যা বিতরণ চলছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা সেতু এলাকার বাসিন্দা রোকসানা বেগম বলেন, “খুব ঠান্ডা, বাড়ি থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। তার পরেও আমরা কাজের সন্ধানে বাহির হয়েছি।”
কুড়িগ্রাম জেলা শহরের অটোরিকশা চালক লুকমান মিয় বলেন, “কয়েকদিন ধরে কনকনে ঠান্ডা পড়ছে। রিকশা নিয়ে সময়মতো বের হতে পারি না। মানুষ বের না হওয়ায় ভাড়াও খুব একটা পাচ্ছি না। এতে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি।”
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, “গত ১ মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে। আগামীতে আরো তাপমাত্রা কমে জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
ঢাকা/বাদশাহ্/ইমন
[ad_2]
Source link