শফিকুর রহমান বলেন, ‘এই জাতি যে পরিবর্তন আশা করেছিল, সেই পরিবর্তন-সংস্কার এখনো হয়ে ওঠেনি। তার বেশির ভাগ অপূরণ রয়ে গেছে। যারা দেশের দায়িত্বে আছে, দেশের জনগণ ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাদের এ দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা তাদের বলব, ১৮ কোটি মানুষকে সম্মান করতে হবে। (৫ আগস্ট) বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে সব জঞ্জাল পরিষ্কার করার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে আপনাদের এগিয়ে যেতে হবে। তার কোনো বেশ-কম জনগণ দেখতে চায় না।’
সম্মেলনে জামায়াতের আমির একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে দলমত-নির্বিশেষে সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে। আমরা যেন সবাই মিলে একটা মানবিক বাংলাদেশ গঠন করতে পারি। একা জামায়াতে ইসলামী এটা পারবে না। এটা জামায়াতের একার কাজও না। এই জন্য সবাইকে বলি আসুন, সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। এটা জাতির জন্য হই, আমাদের জন্য হই, দুনিয়ার জন্য হই, আখিরাতের জন্য হই।’
জামায়াতের আমিরের বক্তব্যের আগে সম্মেলনে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে লগি-বইঠার নৃশংস হামলা, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দলের শীর্ষ নেতার বিচার, সাড়ে ১৫ বছরের নির্যাতন, খুন, সর্বশেষ গত জুলাই গণহত্যার ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।