পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিআরটিসি বাস ডিপোতে থাকা বাসগুলোর ইজারা চেয়ে পাননি শ্রমিক লীগ নেতা দিদারুল আলম। এর আগেও বাসের ইজারা নিয়ে ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিআরটিসি ডিপো এলাকায় আবদুল হালিম ওরফে রুবেল নামের একজনকে ছুরিকাঘাতে খুন করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিআরটিসি বাসে সুপারভাইজার দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে হালিমকে খুন করা হয়।
গত বছরের জুলাইয়ে সারা দেশে যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, সেই সময়কে বেছে নেন দিদারুল। তাঁর পূর্বপরিচিত লেগুনাচালক সোহেল রানাকে ঘটনার দুই দিন আগে বিআরটিসি ডিপো এলাকার সামনে ডেকে আনেন। তাঁকে বলেন, ডিপোর ভেতর থাকা পাঁচটি বাসে আগুন লাগিয়ে দিতে হবে। এ জন্য তাঁকে চার লাখ টাকা দেওয়া হবে। তবে অগ্রিম হিসেবে তেল কিনতে তাঁকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। সোহেল বাস ডিপোর পাশের একটি চা-দোকান থেকে একটি গ্যাস লাইটার চুরি করেন। পরে ঘটনার দিন ২০ জুলাই রাতে দেয়াল টপকে ডিপোতে ঢোকেন। একটি বাসের ভেতর থেকে ব্রেক অয়েল নেন। তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে চারটি বাসের আসনের ফোমে ব্রেক অয়েল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সোহেল।