[ad_1]
শ্রম সংস্কার কমিশনের সঙ্গে শ্রমিক অধিকার, মানবাধিকার ও নারী অধিকার সংগঠনগুলোর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় শ্রম ভবনে কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদের নেতৃত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ড. মাহফুজুল হক, শাকিল আখতার চৌধুরী, তাসলিমা আখতার, অ্যাডভোকেট এ কে এম নাসিম, চৌধুরী আশিকুল আলম, রাজেকুজ্জামান রতন, অনন্য রায়হান ও আরিফুল ইসলাম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী গ্রন্থ প্রবর্তনার সীমা দাস শিমু, নারী সংহতির রেবেকা নীলা, ডেমোক্রেসি ওয়াচের সানজিদা লিপি, বিলস থেকে কোহিনূর মাহমুদ ও নাজমা আক্তারসহ অনেকে।
সভায় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের সুপারিশগুলো মৌখিকভাবে জানান এবং এর প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করেন। তাদের বিভিন্ন সুপারিশের মধ্যে ছিল-নারীর মাতৃত্বকালীন ছুটি, কর্মজীবী নারী শ্রমিকের জন্য পর্যাপ্ত ডে কেয়ার, যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, শ্রমিকের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, শ্রমিকের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, যৌনকর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের ডেটাবেজ তৈরি প্রভৃতি। অনেক ক্ষেত্রে আইন থাকা সত্ত্বেও তা আইনের অভাবের কথাও জানান তারা।
রাজেকুজ্জামান রতন বর্তমান শ্রম আইনের প্রবর্তন আর সংশোধনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, সুপারিশ অনেক আসতেই পারে, তবে তার বাস্তবায়ন নির্ভর করবে আমাদের আন্দোলনের জোরের ওপর।
ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী কোহিনূর মাহমুদ বলেন, সরকার যে শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে, কমিশনের সুপারিশ যেন শুধু কাগজ কলমেই না থাকে, শ্রম আইনে যেন এই সুপারিশের প্রতিফলন থাকে। সবাই এই সুপারিশের বাস্তবায়ন দেখতে চান এবং এই সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।
কমিশন প্রধান জনাব সুলতান উদ্দিন আহম্মদ সংগঠনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাঠপর্যায়ের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জন্যই আজ তাদের সঙ্গে এই সভা। সবার মতামত নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সহযোগী সংগঠনের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই আমরা বিশ্বাস করি, আমরা সঠিক সময়ের মধ্যেই সুপারিশ প্রণয়ন করতে পারবো।
সুলতান উদ্দিন সবাইকে তাদের লিখিত মতামত ৩০ তারিখের মধ্যে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আমাদের কমিশনের সংস্কার প্রতিবেদনে মানুষের চাওয়া—পাওয়ার প্রতিফলন অবশ্যই ঘটবে।
[ad_2]
Source link