[ad_1]
এরপর তিনি স্পিকার মহোদয়ের সঙ্গে গোপনে কথা বলতে চাইলেন। স্পিকার বললেন, ‘আপনি এখানেই বলুন।’ আমাদের দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘ওরা সাংবাদিক। বলুন, উনাদের সামনেই বলুন। কোনো সমস্যা নেই।’ তদবিরকারী নারী কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে স্পিকার মহোদয়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে কথা বলতে লাগলেন। কিন্তু তিনি যেভাবে কথা বলছিলেন, তাতে আমরা সবাই তাঁর কথা শুনতে পাচ্ছিলাম। হয়তো বয়সের কারণে তিনি আস্তে কথা বলতে গেলেও জোরে হয়ে যায়, বোঝেন না।
‘আপা, আপনার কাছে এসেছি, আমার জন্য কিছু করা যায় কি না?’ স্পিকার মহোদয় বললেন, ‘আপনি তো জাতীয় পার্টির এমপি হতে চান। সেখানে যান।’ তিনি বললেন, ‘সব কেনাবেচা শেষ। …একজন তো ২৫ কোটি টাকা দিয়ে একটি আসন কিনে নিয়েছে। আমার তো অত টাকা নাই। আমি আট কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে পারব। আপনি একটু দেখেন না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমার ব্যাপারে বলতেন, তাহলে সুবিধা হতো।’ তিনি কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘দেখুন, এখানে আমারও কিছু করার নেই। সবকিছুই আপনার দলের ওপর নির্ভর করছে। আপনি কত খরচ করতে পারবেন, সেটি সেখানে বলুন।’ হতাশ হয়ে সেই নারী চলে গেলেন। কিন্তু জানিয়ে গেলেন একটি সত্য কথা।
[ad_2]
Source link