Homeদেশের গণমাধ্যমে‘সচেতনতাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূল মন্ত্র’

‘সচেতনতাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূল মন্ত্র’

[ad_1]

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব  সাইদুর রহমান বলেছেন, “সচেতনতাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূল মন্ত্র। আমরা সবাই জানি, কোথায় মশা উৎপত্তি হয়, কীভাবে ছড়ায়, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়- কিন্তু আমরা কেউ নিয়ম মানতে, সচেতন হতে রাজি নই। এটাই ডেঙ্গু বিস্তারে মূল সমস্যা।”

তিনি বলেন, “আমাদের অসচেতনতাই ডেঙ্গু মশা বিস্তারের মূল কারণ। আমরা একে অপরকে দোষারোপ করি কিন্তু মশার কামড় সবাই ভোগ করি। কাউকে দোষারোপ না করে ডেঙ্গু মশা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যার যার অবস্থান ও কর্মস্থল থেকে আমরা সবাই যথাসাধ্য চেষ্টা করি- তবেই এ মহামারি থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।”

বুধবার ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে  সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এর  আগে ডেঙ্গু রোগের বাহকের কীটতাত্ত্বিক জরিপ-এর ফলাফল প্রচারের জন্য একটি ডিসেমিএনশন বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন ডেঙ্গু রোগের বাহকের কীটতাত্ত্বিক জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন। 

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তেনর কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মেয়াদ অনেক বেশি। অন্যান্য বছরে জুন-অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গি বলবৎ থাকলেও এ বছর ডিসেম্বর মাস শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বিদ্যমান। এ প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার লক্ষ্যে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে একটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। 

জরিপে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ভিতরে ৫৯টি তে এবং ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০টি ওয়ার্ডে অর্থাৎ দুটি সিটি কর্পোরেশনের মোট ৯৯টি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়। উক্ত জরিপে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে আনুপাতিক হারে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার বেশি। ঢাকাস্থ সকল হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীর চাপ রয়েছে। বেসরকারি পর্যায়েও বারডেম হাসপাতাল, ইবনেসিনা হাসপাতাল, সেন্ট্রাল মুগদা হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য। ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য জেলারও অনেক ডেঙ্গু রোগী ঢাকাতে চিকিৎসা গ্রহণ করে। সে কারণে ঢাকাতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়। 

ডেঙ্গুর উৎপত্তি ও নিরাময়ের বিষয়ে  সভায় অবহিত করা হয় যে, সম্মিলিতভাবে গৃহায়ন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুই সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে কাজ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে পারে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নির্মাণাধীন বাড়িতে জলাবদ্ধতার বিষয়ে সতর্কতার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারে। দুই সিটি কর্পোরেশন মশার ঔষধ ও লার্ভা নিধনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে এ মশার বংশ বিস্তার প্রতিরোধ এবং মশার কামড় হতে নিরাপদ থাকার জন্য। 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত