Homeদেশের গণমাধ্যমেসরকারি কোয়ার্টারে বিল আদায়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে তিতাস

সরকারি কোয়ার্টারে বিল আদায়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে তিতাস

[ad_1]

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক কোয়ার্টারে বিল আদায়ে এবার ভিন্ন পথে হাঁটবে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। গ্যাস ব্যবহারের আগেই বিল পরিশোধে বাধ্য করা হবে গ্রাহককে। এজন্য প্রত্যেকটি সরকারি কোয়ার্টারে বসানো হবে প্রিপেইড মিটার। তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি সূত্র বলছে, বিল বকেয়া বা পরিশোধ যাই হোক না কেন সরকারি কোয়ার্টারে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে।

তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির তরফ থেকে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কোয়ার্টারের বাসিন্দারা অথবা সরকারি দফতরগুলো তিতাসের গ্যাস বিল পরিশোধ করেন না। বেসরকারি গৃহস্থালিতে নিয়মিত গ্যাস বিল পরিশোধ না করলে লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। অপরদিকে সরকারি কোয়ার্টারগুলোতে তিতাস চাইলেও নানামুখী চাপে গ্যাস বিল আদায়ে এমন পদক্ষেপ নিতে পারে না। এরআগে, জ্বালানি বিভাগ সরকারি এসব জায়গায় অভিযান চালানোর নির্দেশ দিলেও তিতাস তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিল আদায়ে কঠোর হওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘অভিযান বা অন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করলে ওপর থেকে তা থামিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গত কারণে এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি যাতে বিল পরিশোধে মানুষ বাধ্য হয়।

তিতাসের প্রি-পেইড মিটার ডিভিশনের সাবেক এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে তিনটি প্রকল্প এখন চালু আছে। এরমধ্যে সরকারি কোয়ার্টারে প্রি-পেইড মিটার আমরা স্থাপন করছি। প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের ফলে আমাদের বিল বকেয়া আদায়ের ঝক্কি আর থাকবে না। গ্যাস সাশ্রয়ে  গ্রাহকরাও সচেতন হবেন।’

রাজধানীতে ইতোমধ্যে তিন লাখের ওপরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন হয়েছে। এসব গ্রাহকরা গ্যাস ব্যবহারের আগেই বিল পরিশোধ করেন। গ্রাহক চাইলেও বিল পরিশোধ না করে গ্যাস ব্যবহার করতে পারেন না। প্রিপেইড মিটারে গ্যাস বিল আদায়ের হার শতভাগ।

তবে যেসব গ্রাহক প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন— তাদের সব বকেয়া পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু সরকারি কোয়ার্টারে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের ক্ষেত্রে বকেয়া থাকলেও সেসব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এক আদেশে প্রিপেইড মিটার কমিশনিং করে দিতে বলা হয়েছে। যাতে মিটার পাওয়ার পর থেকেই গ্রাহক বিল পরিশোধ করে মিটার ব্যবহার করতে পারেন।

তিতাস গ্যাস জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, সরকারি কোয়ার্টারগুলোতে কোনও কোনও ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতর বিল পরিশোধ করে আবার অনেক ক্ষেত্রে যে কর্মকর্তা কিম্বা কর্মচারী থাকেন তাদেরও বিল দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কোনও কোনও দফতর দীর্ঘদিন ধরে দেন-দরবার করার পরও বিল পরিশোধ করেনি। ফলে বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া রয়ে গেছে। যেহেতু বিল কোনোভাবেই আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না তাই বিকল্প এই পথ অনুসরণ করা হচ্ছে।

এখন প্রতিদিন যে গ্যাস ব্যবহার হয় তার এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস আমদানি করা হয়। চড়ামূল্যে আমদানি করা এই গ্যাসের বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে হয়। এক্ষেত্রে বিল বকেয়া থাকায় পেট্রোবাংলার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের গ্যাস বিল আদায় জোরদার করা হচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্যাস বিল আদায় করার ক্ষেত্রে নানা অভিযান পরিচালনা হলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেলায় তা করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের প্রিপেইড মিটারের তিন প্রকল্পের মধ্যে জাইকার অর্থায়নের প্রকল্পটি শেষ হয়েছে। আরও দুটি প্রকল্প জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্পের একটা অংশে সরকারি কোয়ার্টারে মিটার স্থাপন করা হবে।  ৫ বছর মেয়াদি এ দুই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে এডিবি ও বিশ্বব্যাংক।’ দুই প্রকল্পে সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত