[ad_1]
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত সর্বজনীন ন্যূনতম আয়ব্যবস্থাকে শর্তহীন অর্থ হস্তান্তর বলে অভিহিত করা হয়েছে। যেহেতু শর্তহীন অর্থ হস্তান্তর বনাম শর্তসাপেক্ষ অর্থ হস্তান্তর বিষয়ে বিশ্বব্যাপী একটি দীর্ঘকালীন বিতর্ক রয়েছে, তাই বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় পন্থাটি কি আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচিত হওয়া উচিত নয়?
এটা প্রয়োজন; কারণ, ব্রাজিলের বোলসা ফ্যামিলার মতো একটি শর্তসাপেক্ষ অর্থ হস্তান্তর কর্মসূচি আছে, যা শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত সর্বজনীন আয় কর্মসূচির বাস্তবায়ন পরিকল্পনাটি সুচিন্তিতভাবে মূল্যায়িত হওয়া দরকার। এ জাতীয় কর্মসূচির আমলাতান্ত্রিক কাঠামোটি অত্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর হতে পারে।
বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত সর্বজনীন ন্যূনতম আয়কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, প্রয়োজনীয় জনগোষ্ঠীর শনাক্তকরণ। প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের গ্রামীণ ও নগরাঞ্চলের নিজস্ব বিশেষত্ব বিবেচনা করে আলাদা করে দারিদ্র্য নম্বরপত্রী নির্ধারণ করা হবে। দুটো অঞ্চলের জন্য নিজ নিজ অঞ্চলের ঊর্ধ্ব দারিদ্র্যরেখার ভিত্তিতে ন্যূনতম আয়ের সীমারেখা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
[ad_2]
Source link