Homeদেশের গণমাধ্যমে‘সহকারী জজ’ ও ‘সিনিয়র সহকারী জজ’ পদবির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব জুডিশিয়াল সার্ভিস...

‘সহকারী জজ’ ও ‘সিনিয়র সহকারী জজ’ পদবির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

[ad_1]

১৯৮৭ সালে বিসিএস অন্যান্য ক্যাডারের পদবির অনুকরণে ‘মুনসেফ’ পদবিটি পরিবর্তন করে সিভিল কোর্টস (সংশোধন) আইন–১৯৮৭–এর মাধ্যমে ‘সহকারী জজ’ নামকরণ হয়, যা এখন পর্যন্ত চলমান আছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর বিচার বিভাগকে অন্যান্য সার্ভিস থেকে একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে ‘সহকারী জজ’ ও ‘সিনিয়র সহকারী জজ’ পদবির ব্যবহার বিচার বিভাগের মর্যাদা ও স্বাতন্ত্র্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং যথাযথ নয় বলে মনে করে অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন চিঠিতে বলেছে, আভিধানিকভাবে ‘সহকারী জজ’ অর্থ জজের ব্যক্তিগত সহকারী, প্রশিক্ষরত জজ, পেশকার, চুক্তিভিত্তিক জজ ইত্যাদি বোঝায়। সংবিধানের ১১৬ ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘সহকারী জজ’ ও ‘সিনিয়র সহকারী জজ’রাষ্ট্রের সার্বভৌম বিচারিক ক্ষমতা স্বাধীনভাবে পালন করেন। ১৮৮৭ সালের সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট অনুযায়ী, একজন ‘সহকারী জজ’ ও ‘সিনিয়র সহকারী জজ’–এর এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সুনির্দিষ্ট এবং পৃথক। একজন সহকারী/সিনিয়র সহকারী জজ কোনোভাবেই কোনো জজ বা বিচারকের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন না। ‘সহকারী’ শব্দটি আপেক্ষিক অর্থ বহন করে এবং একজন বিচারকের পদবির শুরুতে ‘সহকারী’ শব্দটি থাকায় সাধারণ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে; এমনকি একজন ‘সহকারী জজ’ বিচারক কি না, তা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হয়। ফলে অনেক সময় সহকারী/সিনিয়র সহকারী জজদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। অথচ একজন ‘সহকারী জজ’ পূর্ণাঙ্গ বিচারক এবং তিনি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত ও রায় প্রদান করেন। তাই সিভিল কোর্টের পদবি কাঠামোতে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এবং ওই পদ দুটির মর্যাদা সুরক্ষায় পরিবর্তন আনা আবশ্যক।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত