[ad_1]
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে চীন। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, চার দশকেরও বেশি আগে দু দেশের সম্পর্ক স্থাপনে কার্টার ছিলেন প্রধান চালিকা শক্তি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে চীন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে প্রধান চালিকা শক্তি ছিলেন তিনি। দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
রবিবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্লেইনস শহরে নিজ বাড়িতে দেহত্যাগ করেন কার্টার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০। তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সত্তরের দশকে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের কাজের ধারাবাহিকতায় তার আমলে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
কার্টার প্রশাসন বেইজিংয়ের দাবি মোতাবেক ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর ফলে, দু দেশের সম্পর্ক নতুন দিকে মোড় নেয়। অবশ্য তার কিছুদিনের মধ্যে তাইওয়ানকে রক্ষায়ও আইন পাস করে মার্কিন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জিয়ে ফেং বলেছেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ ও উন্নয়নে কার্টারের ঐতিহাসিক অবদান চীনারা চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
কার্টারের আমলে দুদেশের মধ্যে হওয়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল ১৯৭৯ সালের যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চুক্তি (এসটিএ)। অবশ্য বিজ্ঞান বিষয়ক এই সহযোগিতা চুক্তিকে অনেক সমালোচক বলেছেন, এ থেকে বেইজিং বেশি লাভবান হয়েছে।
চলতি মাসে চুক্তিটি নবায়ন করা হয়েছে। আসছে ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগে এই সিদ্ধান্তের অনেকে সমালোচনা করে বলেছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির তথ্য কুক্ষিগত করতে পারে বেইজিং। তবে তাদের আশ্বস্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগের চেয়ে অনেক বেশি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে নবায়নকৃত চুক্তিতে। তাই, গুরুত্বপূর্ণ বা নব প্রযুক্তির তথ্য বেহাত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
[ad_2]
Source link