[ad_1]
১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের করাচিতে সিন্ধু পানিচুক্তি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বিশ্বের অন্যতম স্থিতিশীল আন্তসীমান্ত পানি চুক্তি হিসেবে পরিচিত। সিন্ধু পানিচুক্তি দুই দেশের মধ্যে তত্ত্বগতভাবে পানিবণ্টন ঠিক করে থাকে। তবে বরাবরই এ চুক্তি ছিল বিরোধপূর্ণ।
এই চুক্তি সিন্ধু নদের অববাহিকার ছয়টি নদী দুই দেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে তিনটি পূর্বাঞ্চলীয় নদীর নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল। এগুলো হলো ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু। অন্যদিকে পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদ–নদী অর্থাৎ সিন্ধু, ঝিলম এবং চেনাবের নিয়ন্ত্রণ। বলা হয় পশ্চিম অংশের এ তিনটি নদ–নদীর মাধ্যমে পাকিস্তানে মোট পানির প্রায় ৮০ ভাগ সরবরাহ করে।
চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান পায় ৭০ ভাগ পানি আর ভারত পায় ৩০ ভাগ পানি। ভারত পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সীমিত সেচের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। তবে এগুলোর প্রবাহ সংরক্ষণ বা পরিবর্তন করে নিম্নগামী এলাকায় পানি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। এই বিধিনিষেধগুলো খুবই স্পষ্ট ও কার্যকর, যা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। পাকিস্তানের জন্য এই কাঠামো কেবল পানি নয়; বরং সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ার জন্য নিশ্চয়তা দেয়।
সিন্ধু পানি চুক্তি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা প্রদান করে। চুক্তির পর একটি স্থায়ী ‘সিন্ধু কমিশন’ তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে ভারত ও পাকিস্তান থেকে একজন করে কমিশনার নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাদের কাজ ছিল তথ্য বিনিময়, নতুন প্রকল্প পর্যালোচনা এবং নিয়মিতভাবে দুই দেশের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করা।
চুক্তি অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু ও অন্যান্য নদীর পানি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। প্রযুক্তিগত প্রশ্ন প্রথমে কমিশনে পাঠানো হয়। যদি সমাধান না হয়, তাহলে একজন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়। আইনি বিরোধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে পাঠানো যেতে পারে, যেখানে বিশ্বব্যাংক উভয় ফোরামে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে।
[ad_2]
Source link