দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশের সামনে এবার সত্যিকার অর্থেই রানের পাহাড়। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান টস জিতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করেছে ২০১ রান। জবাবে সিরিজে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২০২ রান।
ম্যাচে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। ৪১ বলে ৭৪ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলেন তিনি, যার মধ্যে ছিল ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা। শুরুতেই সাইম রান আউট হলেও দ্বিতীয় উইকেটে হারিসকে নিয়ে ফারহান গড়েন ১০৩ রানের জুটি।
মোহাম্মদ হারিস খেলেন ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস, আর শেষ দিকে ঝড় তোলেন তরুণ হাসান নওয়াজ। মাত্র ২৬ বলে ৫১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন, যা পাকিস্তানকে ২০০ পেরোনো সংগ্রহ এনে দেয়।
যদিও ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ১১৫, শেষ দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে বাংলাদেশ ২২০-রানের দিক থেকে প্রতিপক্ষকে টেনে নামায়। বিশেষ করে তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদের শেষ দিকের বোলিং চোখে পড়ার মতো।
তানজিম ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট ও হাসান ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। তবে স্পিনার রিশাদ হোসেন ছিলেন ব্যয়বহুল, ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন মাত্র ১ উইকেট।
আগের ম্যাচে যেমন, এবারও বাংলাদেশের বোলারদের স্ট্র্যাটেজিতে ছিল কিছু ঘাটতি। পাওয়ারপ্লেতে আসে মাত্র একটি উইকেট। এর চেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়—আজকের স্কোর আগের ম্যাচের স্কোরের সমার, এবং সেই ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরে যায় ৩৭ রানে। অধিনায়ক লিটন দাসকে এবার ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
বাঁহাতি তানজিদ হাসান, পাওয়ার হিটার পারভেজ ইমন, টেকনিক্যাল হৃদয় ও অভিজ্ঞ লিটনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল। আজকের ইনিংস শুধু বড় হতে হবে না, হতে হবে ধারাবাহিক ও চাপ মোকাবিলার প্রমাণ।