[ad_1]
সিরিয়ার প্রধান সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি অন্তর্বর্তীকালীন সময় পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসানের ঘোষণা দেয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা রাজধানী দামেস্ককে দ্রুতগতির এক অভিযানে ‘মুক্ত’ করেছে। জানা গেছে, বাশার আল-আসাদ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, তবে তার বর্তমান অবস্থান অনিশ্চিত।
এক বিবৃতিতে, আল-জুলানি জানান, গত সেপ্টেম্বরে আসাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়া আল-জালালি ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দামেস্কে সামরিক বাহিনীকে সরকারি ভবনের কাছে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং আকাশে গুলি চালানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী আল-জালালি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, তার সরকার যেকোনও জনমতভিত্তিক নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমি এখান থেকে কোথাও যাচ্ছি না এবং যাওয়ার ইচ্ছেও নেই। শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠান ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে চাই। পাশাপাশি, দেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলাতে প্রস্তুত, যারা আমাদের সবার এই সিরিয়ার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
আল আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-জালালি জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন পরিস্থিতি সামলানোর বিষয়ে এইচটিএস প্রধানের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ায় অবাধ নির্বাচন হওয়া উচিত।
আল-জালালি বলেন, আমি জানি না আসাদ ও তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোথায় আছেন। শনিবার রাত থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
এদিকে, সিরিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী আইয়াদ আল-খতিব আল আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, টেলিকম পরিষেবাগুলো চালু রাখার বিষয়ে এইচটিএসের একজন প্রতিনিধির সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। আলোচনার পর উভয়পক্ষই টেলিকম ও ইন্টারনেট পরিষেবা সচল রাখার বিষয়ে একমত হন।
[ad_2]
Source link