[ad_1]
সিরিয়ায় অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। দুই মার্কিন কর্মকর্তা ও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কংগ্রেসের এক সহকারী এই তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এই যোগাযোগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রসহ তুরস্কের সহযোগিতা রয়েছে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।
আলোচনাগুলো গত কয়েক দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আসাদ সরকারের হঠাৎ পতনের পর সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সিরিয়ার অভ্যন্তরে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিরিয়ায় একটি আনুষ্ঠানিক শাসন কাঠামো গঠনে প্রাথমিক প্রচেষ্টাগুলো পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে গোষ্ঠীটিকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
তবে এই বার্তাগুলো সরাসরি নাকি কোনও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সিরিয়ার জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকা উচিত, এবং এইচটিএস যদি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ছাড়া নেতৃত্ব দখল করতে চায় তবে তা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএস নেতা আহমদ আল-শারা, যিনি আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি নামেই পরিচিত, তাকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। আসাদ সরকারকে উৎখাত করে সিরিয়ায় ইসলামি শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আল-কায়েদা ইন ইরাক তাকে নিযুক্ত করেছে বলে অভিযোগ আনা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, একটি গ্রহণযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অসাম্প্রদায়িক সরকার গঠনের শর্তে ভবিষ্যৎ সিরীয় সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে।
সিরিয়ার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, বিশেষত এইচটিএস-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা, প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য কংগ্রেসের কিছু সদস্য বাইডেন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো দেশটির পুনর্গঠনে ও বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে তাদের সংযুক্তির পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এইচটিএস ও মাঠপর্যায়ে সক্রিয় অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সামরিক কার্যক্রম সম্পর্কেও আলোচনা চালাচ্ছে ওয়াশিংটন। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আইএসআইএস বিরোধী সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে তারা। এছাড়াও, ইরান সমর্থিত প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা সেখানে সক্রিয় থাকবে।
[ad_2]
Source link